মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওষুধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত রাসায়নিক বর্জ্য যেভাবে বিশ্বের নদীগুলোকে দূষিত করছে, তা পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি সৃষ্টি করছে। ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক পরিচালিত এক গবেষণা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ওই গবেষণার বরাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্যারাসিটামল, নিকোটিন, ক্যাফেইনের পাশাপাশি এপিলেপসি ও ডায়াবেটিসের ওষুধের ব্যাপক উপস্থিতি ধরা পড়েছে দূষণের নমুনায়।
শতাধিক দেশের এক হাজারের বেশি এলাকা থেকে নদীর পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এ গবেষণায়। সব মিলিয়ে ২৫৮টি নদীর পানির নমুনা পরীক্ষা করে এক-চতুর্থাংশের বেশি নদীতে ‘সক্রিয় ওষুধ প্রস্তুতের উপকরণের’ উপস্থিতি এমন মাত্রায় পাওয়া গেছে যা জলজ প্রাণীর জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। বিস্তৃত এ গবেষণায় দেখা গেছে, পাকিস্তান, বলিভিয়া ও ইথিওপিয়ার নদীগুলো সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার। আর আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও অ্যামাজনের চিরহরিৎ বনের নদীগুলো সবচেয়ে কম দূষিত হয়েছে।
নদীতে সবচেয়ে বেশি পাওয়া ওষুধ যৌগগুলো কতটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলছে, সে বিষয়ে খুব বেশি তথ্য এখনও জানা যায়নি। তবে এটা বোঝা গেছে, মানুষের প্রজনন নিয়ন্ত্রণের উপকরণ নদীতে মিশে মাছের বৃদ্ধি ও প্রজননকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, নদীতে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি বৃদ্ধি হয়তো ওইসব ওষুধের কার্যকারিতাই কমিয়ে দিচ্ছে। গবেষক দলের প্রধান ড. জন উইলকিনসন বিবিসিকে বলেন, ‘সাধারণত, যেটা হয়, আমরা এসব রাসায়নিক বস্তুগুলো সেবন করি, আমাদের ওপর সেগুলো কিছু প্রত্যাশিত প্রভাব রাখে এবং এরপর আমাদের দেহ থেকে বের হয়ে যায়। সেসব রাসায়নিক নদী বা জলায়শে গিয়ে মেশে।’
নদীতে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হওয়া দুটি ওষুধ উপকরণ হচ্ছে কারবাম্যাজেপাইন (এপিলেপসির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়) ও মেটফরমিন (ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত)। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারের একজন জলজ বাস্তুবিদ ড. ভেরোনিকা এডমন্ডস-ব্রাউন বলেন, আমরা বলতে পারি নদীতে এ ধরনের ওষুধ উপকরণের উপস্থিতির প্রভাব নেতিবাচক হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, তবে আপনাকে প্রত্যেকটির জন্য আলাদা করে পরীক্ষা চালাতে হবে। আমরা মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা সারাতে আরও বেশি করে ওষুধ ব্যবহার করছি, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নদীতে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে সেগুলো প্রতিরোধের সক্ষমতা তৈরি হবে ব্যাক্টেরিয়ায়, ওষুধের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং শেষ পর্যন্ত ‘পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বৈশি^ক হুমকি’ সৃষ্টি করবে। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোহামেদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেখেছি নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার নদীগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে ওষুধ উপকরণ মিশছে। মূলত বর্জ্য পরিশোধন অবকাঠামোর অভাবেই এটা ঘটছে। সবচেয়ে কম স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ পাওয়া এবং সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো এই দূষণের শিকার হচ্ছে, এটা উদ্বেগের বিষয়।’ সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।