পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিবেশ দূষণের দায়ে সভার চামড়া শিল্প পল্লীর ১৯টি ট্যানারিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ১৯টি কারখানা পরিবেশ ছাড়পত্রের কোন আবেদন করেনি। বৈঠকে বন্যপ্রাণি পাচার রোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বন্যপ্রাণি পাচারের ট্রানজিট ব্যবস্থার অবসানের পাশাপাশি জড়িতদের প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, তানভীর শাকিল জয়, জাফর আলম ও খোদেজা নাসরিন আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, আবেদন না করার কারণে, পরিবেশ দূষণের দায়ে যে ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো- মেসার্স নিশাত ট্যানারি, ইব্রাহীম ট্যানারি, মেসার্স সিটি লেদার, মেসার্স সবুজ করপোরেশন, মেসার্স এম এ লেদার, মেসার্স মেট্রো ট্যানারি, মেসার্স মুন ট্যানারি, মেসার্স লিয়েন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ইন্টারন্যাশনাল ট্যানারি, মমতাজ ট্যানারি, জিন্দাবাদ ট্যানারি, মেসার্স গোল্ডেন লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ, জামান ট্যানারি, মেসার্স সাহী ট্যানারি, ফালু লেদার করপোরেশন, হাইটেক লেদার, ইসমাইল লেদার, এস এন্ড এস ট্যানারি, মেসার্স জহির ট্যানারি।
এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, যে ১৯টি প্রতিষ্ঠান কখনওই পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি সেগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আদালতের দেওয়া শর্ত পূরণ করার জন্য ১৯টি ট্যানারির ছাড়পত্র নবায়ন ও আবেদন করা ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ত অর্জনের শর্তে অস্থায়ী ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কমিটি সূত্র আরো জানায়, বৈঠকে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে পক্ষ থেকে আদালতের দেওয়া শর্ত পূরণসহ কমপ্লায়েন্স অর্জন করেছে এমন ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নবায়ন এবং ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য ছাড়পত্র প্রদানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কমিটির আগের বৈঠকে যেসব ট্যানারি ছাড়পত্রের জন্য কোনও আবেদন করেনি এবং আইনকে তোয়াক্কা করছে না, এমন প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এদিকে বৈঠকে আলোচনায় উঠে এসেছে বন্যপ্রাণি পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজসে এই পাচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পাচারকারি চক্র। বাংলাদেশ থেকে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাচার হচ্ছে। আবার আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্র বিভিন্ন দেশ থেকে একইভাবে বন্যপ্রাণী নিয়ে বাংলাদেশে আসে। এরপর তা চলে যায় পার্শ্ববর্তী দেশে। এভাবে ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে পাচার চলছে। এই পাচার প্রক্রিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক চক্র সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে আলোচনা শেষে বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ট্রানজিট ব্যবস্থার অবসানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাচারের সঙ্গে জড়িতদের প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়।
বৈঠকে ট্যানারী পল্লী ও বন্যপ্রাণি পাচার ছাড়াও কক্সবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন, সেন্টমার্টিনে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রকার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং আসন্ন কপ সম্মেলনের প্রস্তুতি, সাইড ইভেন্ট এবং অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমূহের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাকালে দেশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। আসন্ন কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহ উক্ত প্যাভিলিয়নে প্রদর্শন ও প্রচারের বিষয়ে বিভিন্ন সাইড ইভেন্ট আয়োজনের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে কক্সবাজারে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, বিশেষ করে সংরক্ষিত বনাঞ্চল রক্ষায় বালু উত্তোলন বন্ধে আরো কঠোর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা কামনা করা হয়। এছাড়া সেন্টমার্টিনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্রকার হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ইত্যাদি পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নোটিশ প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।