মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। এরই মধ্যে লাসা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রানির দেশে। জানা গিয়েছে, লাসা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এক ব্রিটিশ নাগরিক। এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনে তিন জনের দেহে লাসা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।
সূত্রের খবর, লাসা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। বাকি দু’ জন সংক্রমিতেরও সাম্প্রতিককালে পশ্চিম আফ্রিকা সফরের ইতিহাস রয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় বেডফোর্ডশিয়রে। এক দশক আগে ব্রিটেনে ওই ভাইরাসের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছিল। আবারও এরিনা ভাইরাস প্রজাতির ওই ভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে ইংল্যান্ডে।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে জন্যই হয়েছে, মারণ ভাইরাসের পর্যায়ে পৌঁছেছে লাসা। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত লাসাজ্বরের প্রকোপ নেই। যদিও বিশেষজ্ঞরা বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্রিটেনের অবস্থার উপর নজর রাখছে।
পশ্চিম আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরেই লাসা মহামারী চলছিল। বর্তমানে সিয়েরা, লিওন, লিবেরিয়া, গিনি এবং নাইজেরিয়া সহ পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় এন্ডেমিক অবস্থায় রয়েছে ওই ভাইরাল রোগটি। আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাল্টিম্যামেট ইঁদুর থেকেই ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। শ্বাসনালী এবং খাদ্যনালীর মাধ্যমে মানব দেহে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৯ সালে লাসা জ্বরের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছিল।
লাসা জ্বরের লক্ষণগুলি কী কী?
লাসা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রথম লক্ষণ দেখা যায়। লাসা জ্বরে আক্রান্ত ৮০ শতাংশ মানুষের দেহেই মৃদু উপসর্গ দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওই রোগ দেখা যায় না। তবে ২০ শতাংশ আক্রান্তের দেহে গুরুতর উপসর্গ দেখা যায়। চোখ, নাক এবং চোখে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দেখা যায়। এছাড়াও ফুসফুসের সমস্যা, বমি, মুখ ফোলা, পিঠ, পেট ও বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়। স্নায়ুর রোগ, কানে কম শোনা, এনকেফালাইটিসের মতো উপসর্গও দেখা যায় লাসা ভাইরাসে আক্রান্তদের দেহে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, একসময় পশ্চিম আফ্রিকায় ইঁদুরদের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া যেত। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, এই ভাইরাস কি একজন ব্যক্তির থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "লাসা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও 'পার্সন টু পার্সন' সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত, যদি সংক্রমণ ঠেকানোর মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে।" সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।