Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সীমান্ত থেকে কিছু রুশ সেনা ঘাঁটিতে ফিরছে

ঐক্য দিবসের ডাক দিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট, চুক্তির আশা দেখছে মার্কিন ও ব্রিটেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

রাশিয়া মঙ্গলবার বলেছে, দেশটি ইউক্রেন সীমান্তের কাছে থাকা তাদের কিছু সেনাকে ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নিচ্ছে। পশ্চিমের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংকটের মধ্যে এটাই উত্তেজনা হ্রাসের পথে প্রথম বড় পদক্ষেপ। ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে মস্কোর এক লাখ সেনা মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ হামলা এড়াতে কয়েক সপ্তাহ ধরে জোরদার ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা ও পর্যবেক্ষকের মতে এটি শীতল যুদ্ধের অবসানের পর থেকে রাশিয়া এবং পশ্চিমের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর সংকট। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি কর্মকর্তারা কয়েক দিন ধরে সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার হামলা যেকোনো সময় সম্ভব। মঙ্গলবার সকালে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের কাছে মোতায়েন করা কিছু রুশ সেনা তাদের অনুশীলন শেষ করে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাকে বলেন, দক্ষিণ এবং পশ্চিমি সামরিক জেলার ইউনিটগুলো তাদের কাজ শেষ করে ইতিমধ্যে রেল ও সড়ক পরিবহনে সরঞ্জাম তোলা শুরু করেছে। আজ তারা সামরিক গ্যারিসনে ফিরে যেতে শুরু করবে। কতগুলো ইউনিট ফিরে যাচ্ছে এবং ইউক্রেনের আশপাশে মোতায়েন সামগ্রিক রুশ বাহিনীর প্রত্যাহারে এটি কী প্রভাব ফেলবে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। তবে এটি কয়েক গত সপ্তাহের মধ্যে রুশ সেনা প্রত্যাহারের প্রথম ঘোষণা হওয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ। এদিকে, যে কোন মুহ‚র্তে চরম যুদ্ধপরিস্থিতি বিরাজ করছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ইউক্রেন সীমান্তে ইতোমধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে। পশ্চিমারা গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে- যেকোনও সময় ইউক্রেনে বিমান হামলা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেনে আগামী বুধবার হামলা করতে পারে রাশিয়া এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এ হামলার অন্তর্বর্তী সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ১৬ ফেব্রুয়ারি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। দিবসটিকে ‘ঐক্য দিবস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। সম্ভাব্য রুশ হামলার বিরুদ্ধে বুধবার বাড়িতে বাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়াতে এবং জাতীয় সংগীত গাইতে ইউক্রেনবাসীর প্রতি আহŸানও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জেলেনস্কি বলেছেন, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা (রাশিয়া) আমাদের ওপর হামলা চালাতে পারে। দিনটিতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা সামরিক মহড়া করে আমাদের ভীত-সন্ত্রস্ত রাখতে চাইছে। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট দীর্ঘদিন ধরে বলছেন, রাশিয়া অনেকদিন ধরে তার দেশকে হুমকি দিলেও যেকোনো মুহ‚র্তে মস্কোর হামলার আশঙ্কাকে বাড়িয়ে প্রকাশ করছে পশ্চিমা মিত্ররা। এতে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যে কোনো মুহ‚র্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো। এদিকে, ইউক্রেন সংকটের ক‚টনৈতিক সমাধানের সব আশা শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতারা। তবে পরিস্থিতি এখনও নাজুক রয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছেন তারা। ৪০ মিনিটের ফোনালাপে জো বাইডেন ও বরিস জনসন রুশ সামরিক পদক্ষেপ আসন্ন বলে একসঙ্গে সুর তোলেন। তবে একটি চুক্তি এখনও সম্ভব বলে সম্মত হন তারা। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। যদিও দেশটির সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। সোমবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সংকট সমাধানের ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা ক্লান্ত হয়ে পড়ার এখনও অনেক বাকি। ১২টিরও বেশি দেশ নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রুশ সেনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ