মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাড়িতে একা ছিলেন ৩৫ বছরের এক মহিলা। সেই সুযোগে এক দুষ্কৃতী তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে। মহিলা বুঝে যান, বিপদে পড়েছেন। স্থানীয় পুলিশকে ফোন করবেন, সেই উপায় ছিল না। তাই অনলাইনেই পুলিশের সাহায্য নেবেন বলে স্থির করেন তিনি। কিন্তু, ভয়ে তখন তার মাথা ঠিকমতো কাজই করছে না। মহিলা নিজে কানাডার ডারহাম শহরের বাসিন্দা। অথচ যোগাযোগ করে বসেন ইংল্যান্ডের ডারহাম পুলিশের সঙ্গে!
অনলাইন চ্যাটে তিনি লেখেন, "আমার সাহায্য চাই। ওই লোকটা আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েছে!" এরপরই তিনি একেবারে চুপ হয়ে যান। ইংল্যান্ডের ডারহাম পুলিশ বুঝতে পারে, মহিলা বড়সড় বিপদে পড়েছেন। কিন্তু, তাদের পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও মহিলাকে সাহায্য করতে উদ্যোগ শুরু করে ইংল্যান্ডের ডারহাম পুলিশ।
মহিলার বাড়ি থেকে ইংল্যান্ডের ডারহামের দূরত্ব প্রায় ৩ হাজার মাইল। তবে এক দেশের পুলিশবাহিনীর পক্ষে অন্য দেশের পুলিশবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করাটা এখন আর কঠিন কিছু নয়। বিশেষ করে বর্তমানে প্রযুক্তির এতটাই উন্নতি হয়েছে যে এই কাজ করতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। এক্ষেত্রেও ইংল্যান্ডের ডারহাম পুলিশ কানাডার ডারহাম পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনা জানায়। সঙ্গে সঙ্গে মহিলাকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে রওনা দেন স্থানীয় পুলিশকর্মীরা। এর প্রায় আধঘণ্টা পর মহিলার বাড়ির কাছ থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তিই মহিলার বাড়িতে ঢুকেছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি মহিলার উপর হামলা করেছিল। তার চিকিৎসা দরকার ছিল। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, জোর করে আটকে রাখার মতো একাধিক ধারায় মামলাও রুজু করা হয়েছে। মহিলার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে ঘটনার জেরে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যদিও চিকিৎসকদের আশা, তিনি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবেন।
ইংল্যান্ডের ডারহাম পুলিশের এক মুখাপত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "যা ঘটেছে, সেটা একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা। সাধারণত, এমন কিছু হয় না। আসলে মহিলা অত্যন্ত চাপে ছিলেন। সেই কারণেই ভুল জায়গায় যোগাযোগ করে সাহায্য চান তিনি। তবে এক্ষেত্রে নাম বিভ্রাটও একটা বড় কারণ। কিন্তু, দু'পক্ষের পুলিশকর্মীরাই খুব ঠান্ডা মাথায় এবং পেশাদারভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং সময় মতোই মহিলার কাছে সহায্য পৌঁছে গিয়েছে। আমরা সবসময়েই মানুষের সাহায্য করতে চাই। আর তার জন্য যত দূর যা করা সম্ভব, আমরা করি। আগামী দিনেও করে যাব।" সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।