মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে ট্রাক চালকদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে কানাডার ওন্টারিও রাজ্য। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। তারপরও আন্দোলন অব্যাহত থাকায় এবার ট্রাক চালকদের ঘরে ফিরতে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। স্থানীয় সময় শুক্রবার জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আপনাদের কথা শোনা হয়েছে, এখন বাড়ি ফিরতে হবে। ট্রাক চালকদের সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, আন্দোলন বন্ধ না করলে, লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সেটি করা হলে চাকরি, দৈনন্দিন জীবনযাপন, এমনকি আন্তর্জাতিক ভ্রমণে, বিশেষ করে আমেরিকায় যেতেও বাধার সম্মুখীন হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। ট্রাক চালকদের করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে বিক্ষোভ শুরু হয় দেশটিতে। ফলে রাজধানী অটোয়াসহ পুরো দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। ওন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত বন্ধ করে বিক্ষোভ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এমন আদেশের পরও ট্রাক চালকরা এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে জরিমানা এবং এক বছরের সাজা ভোগ করতে হতে পারে। তিনি আন্দোলনকারী ট্রাক চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ক্রসিং, বিমানবন্দর, প্রধান মহাসড়ক, জনগণ এবং যেকোনও পরিষেবা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে তাদের জন্য এ আদেশ প্রযোজ্য হবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাক চালকদের করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর ফলে রাজধানী অটোয়াসহ কানাডার অনেক জায়গার স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ফোর্ড বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অফিস আদালত বন্ধ করে বিক্ষোভ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। এমন আদেশের পরও ট্রাক চালকরা এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে জরিমানা এবং এক বছরের সাজা ভোগ করতে হতে পারে। এদিকে, করোনার সংক্রমণ রোধে ট্রাক চালকদের জন্য টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করায় বিক্ষোভে অনেকটা অচল কানাডার অন্টারিও রাজ্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থাও। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে বিক্ষোভ তুলে নিতে ট্রাক চালকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চলমান আন্দোলনের কারণে টানা পাঁচ দিন ধরে যুক্তরাজ্য-কানাডার বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাম্বাসেডর ব্রিজ বন্ধ রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। অটোয়াসহ সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও এই আন্দোলন আরও ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে অবিলম্বে বিক্ষোভ উঠিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেন আদালত। ক্ষুব্ধ ট্রাক চালকরা রাজধানী অটোয়ার সীমান্ত ক্রসিং-এ অচলাবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে। ফলে রাজধানীজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। আদালতের আদেশের পরও যদি চালকরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তবে এটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে পারেন চালকরা। চলমান সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও ফোনে আলাপ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।