মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু করতে পারে। হোয়াইট হাউসের প্রধান স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা অ্যান্থনি ফাউচি সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ কাদের দেওয়া হবে, তা প্রাপকদের বয়স অনুসারে বেছে নেওয়া হবে। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ কিছুটা কমেছে যুক্তরাষ্ট্রে। গত ২৮ দিনে দেড় কোটির বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ২৫৫ জনের। এখনও এ দেশে এক দিনে লক্ষাধিক করোনা-রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
ফাউচি বলেন, ‘আরও এক ধাপ বুস্টার ডোজের প্রয়োজন পড়বে হয়তো। এ ক্ষেত্রে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ দেওয়া হবে বয়সে দেখে। কোনও জটিল শারীরিক সমস্যা থাকলেও দেওয়া হতে পারে।’ তৃতীয় ডোজ দেওয়ার পরও অতিমারি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। সাংবাদমাধ্যমের আশঙ্কা প্রকাশে ফাউচি জানান, এই কারণেই তৃতীয় ডোজের পর চতুর্থ ডোজের কথা ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি সমস্যাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অতিমারি এখনও মধ্যগগণে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিন্তা বাড়ানোর মতো আরও নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বশেষ ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ওমিক্রন। গত বছর নভেম্বরে এটি প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়।
ওমিক্রন সবচেয়ে সংক্রামক হলেও এর ক্ষতি করার ক্ষমতা অন্য ভ্যারিয়েন্ট থেকে কম। তাতেও ওমিক্রন সংকমনে গোটা বিশ্বে অন্তত পাঁচ লাখ মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফাউচি। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ওমিক্রন আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত এক লাখ মৃত্যু হয়েছে। এখনও দিনে গড়ে দুই হাজার ৪০০ মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও লকডাউন চালিয়ে যেতে চায় না প্রশাসন। বাসিন্দারা তো নয়ই।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পরামর্শ ঘন ঘন করোনা পরীক্ষা করা হোক ও নিয়ম মেনে টিকা নেওয়া হোক। যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরের বেশি হয়ে গেছে টিকা কার্যক্রমের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। এদিকে করোনাবিধি তুলে দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রদেশ।
সাধারণ মানুষ আগের মতো স্বাভাবিক জীবন চান। যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমতো রাজনৈতিক এজেন্ডা হয়ে উঠেছে মাস্ক। সামনে মধ্যবর্তী নির্বাচন রয়েছে। এর ফলাফল দেখে বোঝা যাবে, জো বাইডেনের দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে, কি না।
ডেমোক্র্যাট শাসিত প্রদেশগুলোতে মাস্কবিধি জারি ছিল। রিপাবলিকানরা চিরকালই করোনাবিধির বিরুদ্ধে। রিপাবলিকান শাসিত প্রদেশ টেক্সাস ও ফ্লরিডায় তাই মাস্ক পরার নিয়মের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষের মন রাখতে তাই ডেমোক্র্যাটরাও এই নিয়ম নিয়ে তুলে দিতে চাইছে। সূত্র : এপি, ইউএস নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।