নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১৩০ রানের। দলটিও তারকা সমৃদ্ধ মিনিস্টার ঢাকা। এমন ম্যাচও ফসকে যেতে বসেছিল হাত থেকে! শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের প্রয়োজন ছিল ১১, হাতে ৫ উইকেট। একটু বেশি হলেও টি-টোয়েন্টিতে অসম্ভব নয় একেবারেই। তবে সেটিকেই সম্ভব করতে ডেথ ওভার এক্সপার্ট থিসারা পেরেরার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চ ডাকছিল আরেকবার, আগের দিন খুব কাছে গিয়ে হারা ঢাকাও ছিল চাপে। তবে মাত্র দুই বলেই সেই রোমাঞ্চের শুভসমাপ্তি দিলেন শুভাগতহোম চৌধুরী। প্রথমটা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সোজা সাইটস্ক্রিন বরাবর, পরের ছয়টি কাভার পয়েন্ট দিয়ে- তার ২ বলে মারা ২ ছক্কায় উড়ে গেল ঢাকার চাপ, রোমাঞ্চেরও শেষ ওখানেই।
প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে এ জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল ঢাকার, খুলনা টাইগার্সকে ১২৯ রানে আটকে দিয়ে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন বোলাররা। সেটি টপকে যেতে শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে হলেও ঢাকা পেয়েছে ৫ উইকেটের জয়, ৯ ম্যাচে সমানসংখ্যক ৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের তিনে তারা। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে খুলনা নেমে গেছে চার নম্বরে।
ঢাকা এদিন নেমেছিল চারটি পরিবর্তন নিয়ে। ব্যাটিংয়ে মোহাম্মদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ নাঈমের জায়গায় এসেছেন জহুরুল ইসলাম ও শামসুর রহমান, বোলিংয়ে দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ইবাদত হোসেনের জায়গায় তারা খেলিয়েছে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রুবেল হোসেনকে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছেন রুবেলই, আগের ম্যাচে ৮২ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য সরকারকে (১) ফিরিয়ে। সিলেটের উইকেটে খুলনা ভুগেছে বেশ কিছুক্ষণ। মারদাঙ্গা ফ্লেচার ফিরেছেন ৬ রানে, জাকের ৫ আর ব্যাট হাতে মাঝে মাঝেই প্রতিদান দেয়া ইয়াসির ফিরেছেন শূন্য ঝুলিতে। সপ্তম ওভারে অধিনায়ক মুশফিক (১২) আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে, খুলনার তখন মাত্র ৩২।
খুলনা এরপরও ১২৯ রান পর্যন্ত গেছে সাত নম্বরে নামা সিকান্দার রাজার ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে। ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসানের সঙ্গে ২৬, সপ্তম উইকেটে পেরেরার সঙ্গে ২৭ বলে ৩৯ রানের পর রুয়েল মিয়াকে নিয়ে ২৩ বলে ৩২ রান যোগ করেছেন এই জিম্বাবুইয়ান তারকা। রাজা তার ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে মারেন ৪টি ছয়। মাহমুদউল্লাহ ছাড়া উইকেটের দেখা পেয়েছেন ঢাকার বাকি ৫ বোলারই। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ২ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ১৫ রান দিয়ে। জোড়া শিকার ওমরজাইয়েরও।
রান তাড়ায় ঢাকার নতুন উদ্বোধনী জুটি অবশ্য সফল হয়নি। ৬ রান করে নাবিল সামাদের বলে এলবিডবøু হয়েছেন তামিম ইকবাল, খুলনা সে উইকেট পেয়েছে এডিআরএস নিয়ে। ইমরানউজ্জামানও ফিরেছেন দলীয় ১২ রানেই। জহুরুল ও মাহমুদউল্লাহকে এরপর করতে হয়েছে ইনিংস পুনর্গঠনের কাজ। জহুরুল অবশ্য শুরুতে ভুগেছেন, প্রথম রানটা করেছেন নবম বলে গিয়ে, নাবিলকে ছয় মেরে।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জহুরুলের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ৫৭ রান, জহুরুল ৩৫ বলে ৩০ রান করে রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হলে ভাঙে সে জুটি। শামসুরকে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ এরপর যোগ করেন আরও ৩২ রান। তবে ৩৬ বলে ৩৪ রান করা ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে পেরেরা ফেরান ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে। এরপর শামসুরকেও ফেরান পেরেরা। ১৯তম ওভারে খালেদ আহমেদ দেন ৪ রান, একটু আশা পায় খুলনা। তাদের সে আশা অবশ্য ২ বলেই মিলিয়ে যায় শুভাগতর ওই দুই ছক্কায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স : ২০ ওভারে ১২৯/৮ (ফ্লেচার ৬, সৌম্য ১, জাকের ৫, ইয়াসির ০, মুশফিক ১২, শেখ মেহেদী ১৭, রাজা ৬৪, থিসারা ১২, রুয়েল ৮*; রুবেল ১/২৬, ফারুকি ১/৩২, সানি ২/১৫, ওমরজাই ২/২৫, কাইস ১/১২, মাহমুদউল্লাহ ০/১৮)। মিনিস্টার ঢাকা : ১৯.২ ওভারে ১৩১/৫ (তামিম ৬, ইমরানুজ্জামান ৬, জহুরুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ৩৪, শামসুর ২৫, শুভাগত ১৮*, ওমরজাই ১০*; নাবিল ১/১০, রুয়েল ১/২১, খালেদ ১/২৯, শেখ মেহেদী ০/১০, থিসারা ২/৩৯, রাজা ০/১৬, ফ্লেচার ০/৫)। ফল : মিনিস্টার ঢাকা ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : আরাফাত সানি (ঢাকা)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।