মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ট্রাকচালকদের বিক্ষোভে কানাডার রাজধানী অটোয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ অবস্থায় সেখানকার মেয়র জিম ওয়াটসন জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার আন্তঃসীমান্ত ট্রাকচালকদের করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করার পরই তারা এক সপ্তাহের বেশি বিক্ষোভ করছে। এরই মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে টরন্টো, কুইবেক সহ অন্য বড় বড় শহরে। জিম ওয়াটসন বলেছেন, এসব বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। রবিবার অটোয়ার মেয়র জরুরি অবস্থা জারি করে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বেশি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে। মেয়র জিম ওয়াটসন বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য একটি হুমকি তৈরি করেছে। বিক্ষোভকারী ট্রাক চালকরা অটোয়ার প্রাণকেন্দ্র অচল করে দিয়েছেন নিজেদের গাড়ি ও তাঁবু স্থাপন করে। ট্রাক চালকদের করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের বিক্ষোভ শুরু হয়। জিম ওয়াটসন বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা টানা হর্ন ও সাইরেন বাজিয়ে এবং আতশবাজি পুড়িয়ে একেবারে পার্টি বানিয়ে ফেলেছে। স্পষ্টভাবে আমরা সংখ্যায় কম, লড়াইয়ে হেরে যাচ্ছি। এটাকে থামাতে হবে, আমাদের শহরকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে। জরুরি অবস্থা জারির পর কেমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে তা সম্পর্কে জানাননি অটোয়ার মেয়র। তবে পুলিশ রবিবার জানিয়েছে, তারা আইনশৃংখলার পদক্ষেপ বাড়াবে। বিক্ষোভকারীদের সহযোগিতা চাওয়া ব্যক্তিদেরও হয়ত গ্রেফতার করা হতে পারে। জরুরি অবস্থা জারির ফলে শহর কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ক্ষমতা পাবে। যেমন, ফ্রন্টলাইন ও জরুরি সেবার কর্মীদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম সরবরাহ করা যাবে। এখানে লক্ষ্যণীয়, গত সপ্তাহে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রডো স্বপরিবারে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। পরে জানান তিনি করোনায় আক্রান্ত। জনবিচ্ছিন্ন থেকে তিনি সরকারি দায়িত্ব পালন করে যাবেন। বিক্ষোভে এক সপ্তাহের ওপর অটোয়া কার্যত অচল। অথচ এখন পর্যন্ত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর অতি উৎসাহী হয়ে গুলি বা বড় কোনো অভিযানে যায়নি। পক্ষান্তরে মেয়র জানান দিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এ থেকে সহজেই অনুমেয় সেখানকার সরকার বা সরকার ব্যবস্থা বা রীতিনীতি কতটা সহনীয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।