পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপির বক্তব্য অসুস্থ ও বিকারগ্রস্ত মানসিকতার পরিচয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি জামালপুর জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাথে আলোচনায় মির্জা আজম এমপি’র একটি বক্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের “চোর” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর বলে প্রতীয়মান হয়।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে চিকিৎসকদের অবদান সর্বজনবিদিত। সকল মহামারি-অতিমারিতেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা প্রশংসিত। করোনাকালীন সময়েও প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক সেবা দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও অধিক চিকিৎসকসহ প্রায় দশ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের প্রায় সকলের পরিবারের সদস্য তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন। নিজেদের ও পরিবারের জীবন বাজি রেখে জনগণের চিকিৎসায় নিয়োজিত হওয়া চিকিৎসকদেরকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করে তিনি নিজের অসুস্থ ও বিকারগ্রস্ত মানসিকতারই পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান সরকারের কোন নীল-নকশা থেকে জনগণের দৃষ্টি এড়ানোর জন্যও বিষয়টির অবতারণা হতে পারে।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বলেন, আলাদীনের চেরাগের ন্যায় এমপি হয়ে তেত্রিশ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়া মির্জা আজম বেশ কয়েকবারের এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার এধরনের বক্তব্য সকল পেশাজীবীদেরকে ব্যথিত করেছে। স্বাস্থ্যখাতের যে দুর্নীতি হয় তার সাথে বর্তমান মিডনাইট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নেতৃবৃন্দ, এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও ঠিকাদারগণ জড়িত; চিকিৎসকগণ নয়। কারণ বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোন চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না।
তিনি মির্জা আজমের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের ও সকল পেশাজীবীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার দাবী জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।