বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশজুড়ে বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ।
এই ফাঁসির রায় শুনতে আজ সকাল থেকে কক্সবাজার আদালত চত্ত্বরে টেকনাফের ভুক্তভোগী সহ হাজার হাজার জনতা ভীড় করছে। আর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে ভীড় করছেন শত শত মিডিয়া কর্মী।
সকালে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও নির্যাতুতরা। এতেপ্র ধান আসামি টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ‘ওসি প্রদীপের ফাঁসি চাই’ সম্বলিত ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে ওসি প্রদীপের হাতে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তাফা বলেন, ‘ওসি প্রদীপের ইয়াবা কারবারসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে ৬টি মিথ্যা মামলা করা হয়। এছাড়া ওসি প্রদীপ তাকে ঢাকা থেকে আটক করে থানায় এনে চরম নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলায় প্রায় এক বছর জেল খাটতে বাধ্য করে। হাতের নখ তুলে নেয় এবং চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে চোখ নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ওসি প্রদীপসহ এ মামলার সব আসামির ফাঁসির দাবি জানান তিনি। ’
টেকনাফ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হালিমা খাতুন তার ছেলে আবদুল আজিজের হত্যার বিচার চান। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী আবদুল আজিজকে কোনো দোষ ছাড়া ওসি প্রদীপ হত্যা করে। আমরা গরীব মানুষ। দিনমজুরী করে খাই। কোনো দোষ ছাড়া আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে টাকা দাবি করে ওসি প্রদীপ। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় আমার ছেলেকে হত্যা করে সে। আমি মা হয়ে মনকে বুঝাতে পারছি না। আমার নির্দোষ ছেলেটাকে এভাবে হত্যা করলো নরপিশাচ প্রদীপ। আমি তার ফাঁসি চাই।’
টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার হাফেজ আহমদ বলেন, ‘আমার ভাই শাহাব উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে ওসি প্রদীপ। কিন্তু আমরা এত টাকা দিতে পারিনি বলে নির্মমভাবে হত্যা করে আমার ভাইকে। আমি ও আমার পরিবার তখনই শান্তি পাবো যখন খুনি প্রদীপকে ফাঁসিতে ঝুলানো হবে।’
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে। রায়কে ঘিরে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
তবে এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করা হচ্ছে বিকেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।