পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নতুন একটি মসজিদ উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আঙ্কারার ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের ক্যাম্পাসে ‘গুলহানে জামি’ নামের নতুন এই মসজিদটি উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের আগে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে মসজিদটি ইউনিভার্সিটি ও আঙ্কারাবাসীর জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এরদোগান। একই সাথে যাদের অবদানে নান্দনিক এ মসজিদটি নির্মিত হলো, উদ্বোধনী বক্তব্যে তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। উদ্বোধনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ অকতাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সয়লু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মোহাম্মদ মুহাররম কাসাপওলু, শিল্প ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা ভারানক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক প্রধান আলী এরবাশের উপস্থিতিতে ‘গুলহানে জামি’ নামের এই মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। চার হাজার বর্গমিটার জায়গার ওপর নির্মিত চমৎকার এ মসজিদটির আয়তন এক হাজার বর্গমিটার। এখানে একসাথে দুই হাজার এক শ’ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদ অভ্যন্তরে একইসাথে গবেষণাগার, পাঠকক্ষ ও গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তিনি ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। খবর হুররিয়াতের। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি এরদোগান বলেছিলেন, আমি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোডিমির জেলেস্কিকে আঙ্কারায় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে বেশ মাথা ঘামাচ্ছে তুরস্ক। তুরস্কের এই বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাপ করার কারণ হলো তাদের কিছু স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত। ২০১৯ সাল থেকে ইউক্রেনে ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক। তাদের তৈরি বায়রাকতার টিভি২ ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন। যদি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধে তাহলে তুরস্কের ড্রোন রপ্তানি হুমকির মুখে পড়বে। ইউক্রেনের কাছে আরও ড্রোন বিক্রির চুক্তি করেছে তুরস্ক। এই ড্রোন ইউক্রেনের মাটিতেই তৈরি করার জন্য একটি কারখানা বানানোর কাজ করে যাচ্ছে দেশটি। আরেকটি বিষয় হলো, রাশিয়ার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিরিয়ায় কয়েকটি সামরিক অভিযানে যুক্ত আছে তুরস্ক। যেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন। তাছাড়া অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল তুরস্ক। কারণ প্রতিবছর রাশিয়া থেকে অনেক পর্যটক আসে দেশটিতে। এরমাধ্যমে বৈদশিক মুদ্রা আয় করে তারা। আরেকটি বড় বিষয় সেটি হলো, তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য। আর ন্যাটোতে তাদের রয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সৈন্য। ফলে ন্যাটো যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায় তখন তুরস্কের থাকতে হবে সবার আগে। এ কারণে তুরস্ক যেকোনোভাবে নিরপেক্ষ থাকতে চায়। সবার আগে এরদোগানের প্রচেষ্টা হচ্ছে দুই প্রতিবেশীকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা। এ কারণেই উত্তেজনার পারদ নিচে নামানো জন্য ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন এরদোগান। আনাদোলু এজন্সি, হুররিয়াত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।