বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত প্রথম একজনের শাস্তি হলো। দীনেশ যাদবকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দীনেশ যাদবের অপরাধ সে দাঙ্গায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল, লুটতরাজ করেছিল এবং একজন ৭৩ বছর বয়সি বৃদ্ধার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তার ফলে বাড়িটি পুড়ে যায়। দিল্লির আদালত জানিয়েছে, দীনেশ যাদব দোষী ও তার পাঁচ বছর জেল হবে।
আদালতে যাদবের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, একাধিক দাঙ্গাকারী দলের সক্রিয় সদস্য ছিল দীনেশ যাদব। এর মধ্যে ৭৩ বছর বয়সি মানোরির বাড়িতে হামলার ক্ষেত্রে সে অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিয়েছিল। ২০০২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মানোরির বাড়ি আক্রমণ করে দেড়শ থেকে দুইশ হামলাকারী।
সেই সময় অন্যরা বাড়ির বাইরে ছিলেন। দাঙ্গাকারীরা লুটতরাজ ও ভাঙচুর করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দীনেশের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার আটদিন পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়। দাঙ্গায় ৫০ জন মারা গেছিলেন। আহত হয়েছিলেন দুইশ জন। প্রচুর বাড়ি, দোকান, গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। সেই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অপরাধে এই প্রথম একজনকে শাস্তি দিল আদালত।
বুধবার দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত বলে ছয় অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দাঙ্গার সময় গোকুলপুরী এলাকায় একটি মিষ্টির দোকানে তারা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ফলে ২২ বছর বয়সি দিলবর নেগি মারা যায়। এই ছয় অভিযুক্তের নাম মহম্মদ তারিক, শাহরুখ, মহম্মদ ফয়সল, মহম্মদ শোয়েব, রশিদ ও পারভেজ।
দিল্লি পুলিশের আইনজীবী এই জামিনের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই দাঙ্গাকারীরা সদলবলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন বাড়ি, দোকান ভেঙেছে, লুট করেছে, আগুন ধরিয়েছে। এই ছয়জন সেই দাঙ্গাকারীদের দলে ছিল।
দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে বিস্তারিত খবর করেছিল ডিডাব্লিউ। সেই সময় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দেখা গিয়েছিল শুধু ধ্বংসের ছবি। রাস্তার ধারে গাড়ি, মোটরসাইকেল, ভ্যান পিরামিড করে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। প্রচুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। খাবার তৈরি করতে বসেছিলেন বাড়ির লোকজন। এমন সময় দাঙ্গাকারীরা আক্রমণ করে। বাড়ির উঠোনে পড়েছিল সবজি। আগুন ধরিয়ে দেয়া বাড়ি থেকে তখনো ধোঁয়া উঠছিল। একটি আহত কুকুর সেই বাড়িতে চোখে জল নিয়ে বসেছিল।
একটি গাড়ির শোরুম ও পার্কিংয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। রাশি রাশি গাড়ির কংকাল পড়েছিল সেখানে। রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল পাথরের টুকরো। অজস্র পোড়া বাড়ি সেই দাঙ্গার চিহ্ন বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ছিল। ডিডাব্লিউ বাংলার দুই প্রতিনিধিও দাঙ্গাকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হাতে করে ফিরতে পেরেছিলেন। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।