বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউপির সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহিদুল খান ও সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা সেকান্দার আলম মৃধা (৭০) গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়।
আহত বিএনপি নেতা মির্জা সেকান্দার আলম মৃধা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পরে নিজ বসত বাড়ির পার্শ্ববর্তী কয়ারিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন কয়ারিয়া জাইল্যাঘাট অটোষ্ট্যান্ডের একটি সেলুনে বসে চুল কাটান। এরপর তিনি ওই অটোষ্ট্যান্ডের ইসমাঈল খলিফার চায়ের দোকানে বসে চা পানকালে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে নলচিড়া ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহিদুল খানের চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী রাশেদ এসে তাকে কথা শোনার কথা বলে পাঁকা রাস্তার ওপর ডেকে নেয়। এরপর সে তাকে বলে ‘আপনার কাছে আমি ২০হাজার টাকা পাই, টাকাটা দেন না কেন’।
জবাবে মির্জা সেকান্দার আলম মৃধা তাকে বলেন, ‘আমিতো কোনোদিন তোমার সাথে কোন লেন-দেন করিনি বা তোমাকে দিয়ে কোন কাজ করাইনি। তা হলে তুমি আমার কাছে কিসের টাকা পাবে’।
এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে গালি গালাজ করে। তখন সেখানে লোকজনের ভীর জমে যায়। ভীর করা লোকদের কয়েক জন এ সময় আমাকে ডেকে পার্শ্ববর্তী একটি দোকানের ভেতরে নিয়ে বসায়। এর প্রায় ৫মিনিট পর ঘটনাস্থলে আসে নলচিড়া ইউপির সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহিদুল খান। সে এসেই আমাকে ঘিরে থাকা শতাধিক লোককে সেখান থেকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মারে। এক পর্যায়ে সে কাঠের লাকড়ির দিয়ে মির্জা সেকান্দারকে পেটাতে থাকে। এ সময় তার ছোটভাই আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম, চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী রাশেদ, সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক তালুকদার ও খলিল খাঁ সহ ৫জন মিলে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারার সাথে পেটাতে থাকে। এতে তার শরীরে জখমসহ রক্তক্ষরণ হয়। ওই অবস্থায় তারা সেখানে প্রায় এক ঘন্টা সেকান্দারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে এলাকাবাসী ও স্বজনরা মিলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে নলচিড়া ইউপির সদস্য মোঃ শহিদুল খান বলেন, ‘টাকা পয়সার কোন লেনদেন না, মির্জা সেকান্দার আলম মৃধা বিএনপির একটা ভাইটাল লোক। সে ২০-২৫জন লোক নিয়ে ওই ষ্ট্যান্ডের একটি দোকানের ভেতরে বসে মিটিং করছিল। ওই অবস্থায় আমার চাচাতো ভাই রাশেদ খান এর সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। আমি একটু দুরে ছিলাম। আসছি, আসার পর লোকজন দৌড়ে গেছে। মির্জা সেকান্দার আলমও দৌড়ে যাবার সময় একটি ওয়ালে বাড়ি খেয়ে কোন যায়গায় একটু ব্যথা পেয়েছে। এই হল ঘটনা। মারামারির কোন ঘটনা কিছু ঘটে নাই’ বলেও দাবী করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।