Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিউইয়র্কে শিশুসহ নিহত ১৯

আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে নয়টি শিশুসহ অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস জানিয়েছেন, আরও ৩২ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দমকল বিভাগের কমিশনার ড্যানিয়েল নিগ্রো বলেছেন, তারা ১৯ তলা ভবনের প্রতিটি তলায় হতাহতদের খুঁজে পেয়েছেন এবং ধোঁয়া ‘অভূতপূর্ব’ ছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ফিলাডেলফিয়ায় একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে ৮টি শিশুসহ ১২ জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পরেই এ ঘটনা ঘটলো। কর্মকর্তারা জানায়, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে ব্রঙ্কস অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছিল। প্রায় ২০০ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মীকে আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঠানো হয়েছিল। কর্মকর্তারা মনে করেন, একটি ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক হিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
কমিশনার নিগ্রো জানান, দুটি তলায় আগুন লাগলেও ধোঁয়া সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, যে অ্যাপার্টমেন্টে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল তার দরজা খোলা রেখে দেওয়া হয়েছিল এবং এ কারণেই ধোঁয়া প্রতিটি তলায় ছড়িয়ে পড়ে। ‘সদস্যরা সিঁড়ির প্রতিটি তলায় হতাহতদের খুঁজে পেয়েছেন এবং এরা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। পরে তাদের বাইরে বের করে আনা হয়।’
ভবনটির পাশের বাসিন্দা জর্জ কিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আগুন ধরে যাওয়ার সাথে সাথে লোকেরা জানালা দিয়ে হাত নাড়ছিল। ‘আমি ধোঁয়া দেখেছি, অনেক লোক আতঙ্কিত ছিল,’ তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন যে কেউ ভবন থেকে লাফ দিতে চায়নি।’ মেয়রের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা স্টেফান রিঙ্গেল এপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, সব মিলিয়ে ৬৩ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৩ জনের অবস্থা গুরুতর। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আগুনের প্রভাব আমাদের শহরে বেদনা ও হতাশা নিয়ে আসতে চলেছে। হতাহতদের সংখ্যা ভয়ঙ্কর।’
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল রোববারের ঘটনাকে ‘শোকাবহ রাত’ বলে অভিহিত করেছেন। যারা জীবিত আছেন তাদের সহায়তার জন্য ক্ষতিপূরণ তহবিল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। হকুল বলেছেন, ‘নতুন আবাসন, সৎকারের খরচ এবং আমাদের যা যা প্রয়োজন তা জোগাড় করার জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকবে কারণ আমরা এখানে নিউইয়র্কে এটিই করি।’ ব্রঙ্কসের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে একটি বিশাল মুসলিম অভিবাসী জনসংখ্যার বাসস্থান এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই গাম্বিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে অভিবাসন অবস্থা নির্বিশেষে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা চাইতে অনুরোধ করেছেন। তিনি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য অভিবাসন সার্ভিসে পাঠানো হবে না। অ্যাডামসের সাথে কথা বলার সময়, মার্কিন সিনেটর, চাক শুমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, শোকাবহ এই সময়ে পরিবারের সদস্যদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিতে তাদের অভিবাসন সহায়তা দেয়া হবে। সূত্র : সিএনএন, এএফপি, এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ