বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তিন দিনের মাথায়ই কনকনে ঠান্ডা উধাও হয়ে বসন্তের আমেজ সৃষ্টি হওয়ায় বরিশাল কৃষি অঞ্চলের রবি ফসল ভিন্নতর বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। বরিশালে গত বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবারে তাপমাত্রার পারদ ১১.৪ ডিগ্রীতে উঠলেও সোমবার সকালে তা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অথচ আবহাওয়া বিভাগের মতে, জানুয়ারি মাসে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ১১.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তবে চলতি মাসে ২-৩টি শৈত্য প্রবাহ সহ একটি ৪-৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে আবহাওয়া বিভাগের দীর্ঘ মেয়াদী বুলেটিনে। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাতে বরিশাল অঞ্চলে একটি মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেলেও এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরে। গতমাসে স্বাভাবিক ১৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের স্থলে ২০ ডিসেম্বর পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়ে বরিশালে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রার এ আকস্মিক ওঠানামাকে জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন বলেই মনে করছেন পরিবেশবীদ গন।
গত মাসের প্রথম সপ্তাহে নিম্নচাপ ‘জাওয়াদ’এ ভর করে অগ্রহায়ণের অকাল বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলে উঠতি আমন সহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রায় ৮০ কোটি টাকার ফসল ক্ষতির হিসেব করলেও মাঠ পর্যায়ের কৃষিবীদদের মতে তা ছিল প্রায় ১শ কোটি টাকার মত।
এবার ইতোমধ্যে দুদফার শৈত্য প্রবাহে বেশ কিছু বোরো বীজতলা ‘কোল্ড ইনজুরী’ ও গোল আলুর জমি ছত্রাকবাহী ‘লেট ব্লাইট’ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে যাওয়ায় গম উৎপাদনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করলেও এখন তা স্বাভাবিকের ওপরে ওঠায় পরিস্থিতি ভিন্নতর হতে যাচ্ছে। তবে অন্যান্য রবি ফসলের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল বলে মনে করছেন কৃষিবীদগন।
তবে ঘনঘন তাপমাত্রা ওঠানামায় জনস্বাস্থ্যের জন্যও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। গত পক্ষকালে এ অঞ্চলে ঠান্ডাজনিত কারণে বিপুল সংখ্যক শিশু ও বয়বৃদ্ধ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতেও এধরনের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে আগামী ৪৮ ঘন্টায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য নতুন সংকট তৈরী করতে পাড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।