পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৬ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এসব কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনস্রোতে পরিণত হওয়ার উজ্জীবিত ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন নীতিনির্ধারণী নেতারা। এজন্য চলমান এই আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। অবশিষ্ট জেলাগুলোতে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে সমাবেশের কর্মসূচি পালনের কথা জানায় বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে ১২ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে ৩৮টি জেলায় সমাবেশের তারিখ ঘোষণা এবং কর্মসূচি সফল করতে স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিবদের দায়িত্বও প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে জেলা পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপের সমাবেশ কর্মসূচি আগামী ১২ জানুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিন- রাজশাহী জেলায় মহানগরীর বাইরে, চাঁদপুর, রংপুর জেলা, বরিশাল দক্ষিণ জেলা, খুলনা জেলা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায়, সিলেট জেলায় (প্রত্যেকটিতে মহানগরীর বাইরে) সমাবেশ করবে। রাজশাহীতে উপস্থিত থাকবেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মিজানুর রহমান মিনু, চাঁদপুরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আব্দুস সালাম, রংপুরে মির্জা আব্বাস ও হাবিব উন নবী খান সোহেল, বরিশালে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মজিবুর রহমান সরোয়ার, খুলনায় নজরুল ইসলাম খান ও মশিউর রহমান, চট্টগ্রামে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জয়নাল আবদীন ফারুক, সিলেটে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির। ১৫ জানুয়ারি- নীলফামারি জেলায় মির্জা ফখরুল ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, ফেনীতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নওগাঁতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মিজানুর রহমান মিনু, কুষ্টিয়ায় নজরুল ইসলাম খান ও মাহবুব উদ্দিন খোকন, বরগুনায় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মজিবুর রহমান সরোয়ার, শেরপুরে শামসুজ্জামান দুদু ও হারুন অর রশিদ, বাগেরহাটে রুহুল কবির রিজভী ও মশিউর রহমান।
১৭ জানুয়ারি রাঙ্গামাটিতে মির্জা ফখরুল ও আবদুস সালাম, নেত্রকোণায় নজরুল ইসলাম খান ও ফজলুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও হারুন অর রশিদ, রাজবাড়িতে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মাহবুব উদ্দিন খোকন, নড়াইলে নিতাই রায় চৌধুরী ও মশিউর রহমান, পিরোজপুরে জয়নুল আবেদীন ও মজিবুর রহমান সরোয়ার, চুয়াডাঙ্গায় শামসুজ্জামান দুদু ও হাবিব উন নবী খান সোহেল, কুড়িগ্রামে রুহুল কবির রিজভী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন।
২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে মির্জা ফখরুল ও ফজলুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় (মহানগরীর বাইরে) খন্দকার মোশাররফ ও মনিরুল হক চৌধুরী, সাতক্ষীরায় মির্জা আব্বাস ও মশিউর রহমান, ময়মনসিংহ দক্ষিণে (মহানগরীর বাইরে) গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাটোরে নজরুল ইসলাম খান ও মিজানুর রহমান মিনু, বরিশাল উত্তরে (মহানগরীর বাইরে) বেগম সেলিমা রহমান, জয়নুল আবেদীন ও মজিবুর রহমান সরোয়ার, চট্টগ্রাম উত্তরে আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জয়নাল আবেদীন ফারুক, সৈয়দপুরে শওকত মাহমুদ ও হারুন অর রশিদ, শরিয়তপুরে আমান উল্লাহ আমান ও মাহবুব উদ্দিন খোকন।
২৪ জানুয়ারি ময়মনসিংহ উত্তরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ফজলুর রহমান, ঝালকাঠিতে শাহজাহান ওমর ও মজিবুর রহমান সরোয়ার, মাগুরায় নিতাই রায় চৌধুরী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাদারীপুরে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বান্দরবানে মো. শাহজাহান ও জয়নাল আবেদীন, মৌলভীবাজারে আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং পঞ্চগড়ে আমান উল্লাহ আমান ও হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিএনপি নেতৃবৃন্দের বাইরেও প্রতিটি জেলার সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্য, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সমন্বয় করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।