Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সভাপতির একক ক্ষমতায় অব্যাহতি শিশু হাসপাতালের পরিচালকে

জানেন না বোর্ড সদস্যরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদকে তার পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। যদিও বোর্ডের সদস্যরা পরিচালককে অব্যাহতির বিষয়টি না জানলেও বোর্ড সভাপতি তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ডা. সহিদুল্লাকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি একই সঙ্গে কোভিড-১৯ ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান, সাংবিধানিক পদ বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, মিরপুর এম আর খান শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতাল গভর্নিং বডি সদস্যসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী সদস্য। একজন ব্যক্তি কিভাবে এতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকেন এ নিয়ে প্রশ্ন সর্ব মহলে।
পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি প্রফেসর ডা. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, শিশু হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক গ্যাসস্ট্রো এন্টারোলজি, হেপাটোলজি এন্ড নিউট্রিশন বিভাগের প্রফেসর এবং পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদকে ৩০ ডিসেম্বর থেকে অব্যহতি প্রদান করা হলো। একই সঙ্গে বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের রুটিন কাজ করার প্রয়োজনে উপ-পরিচালক ডা. প্রবীর কুমার সরকারকে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হলো।
জানা গেছে, আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান পরিচালকের দায়িত্বের মেয়াদ রয়েছে। নিয়মানুযায়ী পরিচালনা বোর্ডের দায়িত্ব পরবর্তী পরিচালক নিয়োগ করা। কিন্তু তারা সেটি না করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে পরিচালককে অব্যহতি দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালনা বোর্ডের অন্যতম সদস্য স্বাচিপ মহাসচিব প্রফেসর এম এ আজিজ বলেন, আমরা সভা মূলতবি করার কথা বলে এসেছিলাম। পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু পরে জানতে পারলাম বর্তমান পরিচালককে বোর্ড সভাপতি অব্যহতি দিয়েছেন। এটা কেনা হলো সেটি বোধগম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ বলেন, ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালক হিসাবে আমার মেয়াদ রয়েছে। কিন্তু কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি আমাকে অব্যহতি প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী অব্যহতি বা দায়িত্ব থেকে অপরসারণ করার ক্ষমতা শুধু মন্ত্রণালয়ের। তিনি বলেন, তাকে অব্যহতির চিঠি দেয়া হয়েছে ১ জানুয়ারি। অথচ ৩০ ডিসেম্বর তিনি অফিসে গিয়ে দেখেন তার ‘নেইম প্লেট’ উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশু হাসপাতাল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ