পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে চলাচলকারী সকল নৌযানের ফিটনেস সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এসব তথ্য দাখিল করতে হবে। সেই সঙ্গে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিগুলোর প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলে বিআইডব্লিউটিএ’কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। লঞ্চ দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে কেউ ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করলে স্ব স্ব জেলা প্রশাসককে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি লঞ্চ দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দু’টি পৃথক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এসব আদেশ ও রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট আবু রায়হান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। শুনানিতে সরকারপক্ষীয় এ আইনজীবী বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনায় সরকারের তো কোনো নিষ্ক্রিয়তা নেই।
এ সময় আদালত বলেন, আপনি বলছেন নিষ্ক্রিয়তা নেই? আপনার অফিসের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা না দেখেই তো লঞ্চের ক্লিয়ারেন্স দিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ এক্ষেত্রে কি দায়িত্ব ছিল না? আদালত বলেন, যে নৌ-কর্মকর্তা ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই লঞ্চ চলাচলের অনুমোদন দিয়েছেন তাকে তো আগেই অ্যারেস্ট করা উচিত ছিল। পরে আদালত এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত সকল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে লঞ্চ, জাহাজসহ অভ্যন্তরীণ নৌযানের ফিটনেস সংক্রান্ত সকল তথ্য ৯০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান ও অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর লঞ্চ, জাহাজসহ নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য চেয়ে রিট করা হয়। রিটে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট সৌমিত্র সরদার এই রিট করেন।
ইউনুছ আলী আকন্দের রিটে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ এবং নৌ দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি অবস্থার উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের আর্জি জানানো হয়। আগুনে নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও গুরুতর আহত প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সৌমিত্রের রিটে আগুনে দগ্ধ আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্বর্তীকালিন আদেশ চান। এ রিটের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিগুলোর প্রতিবেদন ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সব লঞ্চ-জাহাজের ইঞ্জিনের বিষয়ে প্রতিবেদন ও বৈধ লাইসেন্স/পারমিটসহ ফিটনেসের তথ্যাদি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের তালিকা চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।