বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৬ মরদেহ বরগুনায় এসে পৌছছে। শুক্রবার ( ২৪ ডিসেম্বর) রাত এগারোটার দিকে লাশবাহী ট্রাকে করে মরদেহগুলো বরগুনা সদর হাসপাতালে এসে পৌছায়।
মরদেহ পৌঁছার পূর্বে বরগুনা সদর হাসপাতালের মরদেহ রাখার স্থান পরিদর্শন করেন বরগুনা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরগুনা-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক, পৌর মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া এগারোটার দিকে ঝালকাঠির পৌরসভার লাশবাহী ট্রাকে করে ৩৬ টি লাশ বরগুনায় নিয়ে আসা হয়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গন। স্কাউটসের স্বেচ্ছাসেবকরা গাড়ী থেকে লাশগুলো নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখে।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত যতগুলো মরদেহ সনাক্ত করা হবে তা স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর বাকি মরদেহগুলো বরগুনা পৌর শহীদ স্মৃতি গণকবরে দাফন করা হবে।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় শাশুড়ির মরদেহ খুঁজে পেয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ এলাকার রাসেল। দুই সন্তান নিয়ে এখনও নিখোঁজ তার স্ত্রী। তাই স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসেন। এসময় রাসেলের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। শুধু রাসেল নয়, নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করেছেন আরও অনেকে।
রাত সোয়া এগারোটার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬ জনের মরদেহ বরগুনা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদল নিয়ে আসে। এর মধ্যে ৩টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বাকি মরদেহ রাখা হয়েছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে।
শনিবার বেলা ১১ পর্যন্ত নিহতের মরদেহ রাখা হবে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। এর মধ্যে যাদেরকে সনাক্ত করা যাবে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হবে। আর নমুনা সংগ্রহ করে বাকিদের মরদেহ দাফন করা হবে পোটকাখালী গণকবরে।
হাসপাতালে উপস্থিত জাতীয় সংসদ সদস্যগণ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ নিহতদের স্বজনদের সহায়তা করার পাশাপাশি এ ঘটনার বিচার নিশ্চিতে আশ্বাস প্রদান করেন।
শুক্রবার দিনব্যাপী বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ করে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা এলাকার ইদ্রিস খান, মনোয়ারা, পাথরঘাটার টেংরা গ্রামের পপি আক্তার, পাথরঘাটা পৌরসভার তালতলা এলাকার আবদুর রাজ্জাক, পাথরঘাটার কালমেঘার কালিবাড়ি এলাকার রাকিব মিয়া, বরগুনা সদরের হাফেজ তুহিনের মেয়ে (নাম অজ্ঞাত), বরগুনা সদরের ছোট আমতলী এলাকার জয়নব বেগম, মির্জাগঞ্জ উপজেলার রিনা বেগম ও তার মেয়ে রিমা, বরগুনা সদরের পরীরখাল এলাকার মা মেয়ে রাজিয়া ও নুসরাত, বরগুনার ঢলুয়া এলাকার মোল্লারহোড়া গ্রামের একই পরিবারের মা তাসলিমা (৩৫) ও তার মেয়ে মিম (১৫) তানিশা (১২) ও ছেলে জুনায়েদ,বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের আবদুল হাকিম, তার স্ত্রী পাখি ও ছেলে নসরুল্লাহ, সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মঈন, তার ফুফাত ভাই আবদুল্লাহ ও তার শালী আছিয়া নিখোঁজ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।