নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে এবারো তারা ফেভারিট। তাই আসরের শিরোপা ধরে রাখতে চান মারিয়া মান্ডারা। অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে ভারত বরাবরই অন্যতম শক্তিশালী দল। সেটা নারী হোক পুরুষ। দুই বিভাগেই তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে যুগযুগ ধরেই। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের সামনে ভারতের অবস্থান অনেকটাই নড়বড়ে। তবে তাদেরও লক্ষ্য সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করা। টুর্নামেন্টের চলমান আসরের ফাইনালে এ দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে আজ।
এদিন কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু বাংলাদেশ-ভারত জমজমাট ফাইনাল। এ ম্যাচকে সামনে রেখে দু’দল তাদের অভিন্ন লক্ষ্যের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্বাগতিক বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন জানান, সা¤প্রতিক পারফরম্যান্স, রেকর্ড, দলীয় শক্তির নিক্তিটা বাংলাদেশের দিকেই ঝুকে আছে। তবে ম্যাচটি ফাইনাল বলে মারিয়াদের কোচ একটু বেশি সতর্ক, ‘এই টুর্নামেন্টে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন আমরা। চলতি আসরেও চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। লিগ পর্যায়ে ভালো খেলেছি, ফাইনালে আরো একটু ভালো খেলে শিরোপাটা নিজেদের ঘরেই রাখতে চাই।’
লিগ পর্বের চার ম্যাচে ১৯ গোল করেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে কোনো গোল হজম করেনি। তাই তো ফাইনালের আগে গোলকিপিং নিয়ে সন্তুষ্টিই প্রকাশ করলেন কোচ ছোটন, ‘রুপনা চাকমা দারুণ কিপিং করছে। সে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক। আমরা এই পজিশন নিয়ে চিন্তিত নই।’ অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘আমরা লিগ পর্বে ভারতকে হারিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছি। ফাইনালেও তাদেরকে হারাতে চাই। সাফ ট্রফি জিতে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চাই।’
২০১৮ সালে এই টুর্নামেন্টটি অনুর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভূটানের মাটিতে নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে ওই আসরের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের জন্য এই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে এ বছরের শেষ দিকে মাঠে গড়িয়েছে। এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টুর্নামেন্টের বয়সসীমা এক বছর বাড়িয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় কোচ ছোটনের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেছে। এছাড়াও আরেকটি বিষয় ছোটনকে প্রেরণা জোগাচ্ছে। আর তা হলো- ২০১৭ সালে এই কমলাপুর স্টেডিয়ামেই ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। চার বছর পর একই ভেন্যুতে অনূর্ধ্ব-১৯ এর ফাইনাল। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলের অনেক খেলোয়াড়ও রয়েছেন এই দলে। তাই সাফল্যটা আশা করতেই পারেন ছোটনরা। তবে এসব তথ্য ও পরিসংখ্যান আমলে নিতে চাইছেন ভারতের কোচ অ্যামবোক্স এলেক্স, ‘তিন বছর আগের হিসেব কষতে চাই না। ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা জিততে চাই আমরা।’ তবে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ফাইনালে জয় পাওয়া কঠিন বলেই ভারতীয় কোচ। তার কথায়, ‘দল হিসেবে বাংলাদেশ অত্যন্ত সংগঠিত এবং স্বাগতিক সমর্থন রয়েছে তাদের। লড়াইটা অনেক কঠিন হবে। ফাইনালের আগে আমি কাউকে এগিয়ে রাখবো না সুনির্দিষ্টভাবে। তবে আমার দলের শিরোপা জেতার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিগ পর্যায়ে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পেনাল্টি থেকে করা সেই গোলের প্রতিবাদ করেছিলেন ভারতীয় কোচ। ফাইনালের আগে অবশ্য রেফারিং নিয়ে তেমন চিন্তিত নন এলেক্স, ‘ফুটবল ম্যাচে এ রকম কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই।’ অধিনায়ক সুমাতি কুমারি বলেন,‘ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। আমরা শিরোপা জিততেই ঢাকায় এসেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।