বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীর পতেঙ্গায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার ব্যক্তি তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহে আরও দু’জনকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। শুক্রবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান। রাতে নোয়াখালী জেলার কিল্লার হাটে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত আবু তাহের (৪৮) নগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিলমিল নুর নবীর গলিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাদের বাড়ি রাঙামাটি জেলায়। গ্রেফতার আব্দুল জলিলের (৪০) বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। তার স্ত্রী রওশন আরা সন্তানদের নিয়ে পতেঙ্গায় আবু তাহেরের বাসার একই কলোনিতে থাকেন। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানিয়েছেন, আব্দুল জলিল নোয়াখালীতে থেকে ভ্রাম্যমাণ মুড়ি-চানাচুর বিক্রি করেন। স্ত্রী রওশনের সঙ্গে তার মাসখানেক আগে তালাক হয়। জলিল সন্দেহ করত, তার স্ত্রীর সঙ্গে পাশের বাসার আবু তাহেরের পরকীয়ার সম্পর্ক আছে। তবে কিছুদিন ধরে জলিল আবারও সংসার করতে চেয়ে রওশনকে অনুরোধ করতে থাকেন। গত ৯ ডিসেম্বর জলিল চট্টগ্রাম নগরীতে এসে পতেঙ্গায় রওশনের এক মামীর বাসায় ওঠেন। ১৪ ডিসেম্বর রওশনের বাসায় যান। পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান। জলিল বাসায় ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে তাহেরকে সন্দেহ করেন। তার ধারণা, তাহের তার স্ত্রী ও সন্তানকে লুকিয়ে রেখেছেন। তাহের বড় ভাইসুলভ রওশন আরাকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করতেন। কিন্তু জলিল তাকে সন্দেহ করত। বৃহস্পতিবার রাতে জলিল রওশনের মামাতো ভাই ও মামাতো বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে ডেকে বাসার নিচে নামায়। রওশন কোথায়- সেটা জানতে চেয়ে তাহেরকে তিনজন মিলে মারধর শুরু করে। গুরুতর আহত তাহেরকে কলোনির লোকজন উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।