মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অর্থনৈতিক সংকটে আছে আফগানিস্তান৷ দারিদ্র্য বাড়ছে৷ তাই জীবিকার তাগিদে আফিম চাষে নামছেন অনেকে৷
দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে আফিম তৈরির জন্য পপি চাষ হয়ে আসছে৷ মূলত ব্যথানাশক ওষুধ তৈরির জন্য পপি গাছ চাষ করা হলেও তা থেকে তৈরি করা বেশিরভাগ আফিমই ব্যবহৃত হয় নেশাদ্রব্য হিসেবে৷ জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা -র তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বের সব আফিমজাত পণ্যের শতকরা ৮৫ ভাগের জোগানদাতা আফগানিস্তান৷ বিশ্বের মোট আফিমসেবীর শতকরা ৮০ জনের চাহিদা পূরণকারীও এশিয়ার এই দেশ৷
১৯৯৬ সালে তালেবান যখন প্রথম দফা ক্ষমতায় আসে, তখন দেশটিতে আফিমের উৎপাদন অনেক কমেছিল৷ পাঁচ বছরের শাসনকালে বছরে মোট আফিম উৎপাদন ১৯৬ মেট্রিক টনে নামিয়ে এনেছিল তখনকার তালেবান সরকার৷ কিন্তু তালেবান সরকারের পতনের পর আফগানিস্তানের কিছু অঞ্চলে আবার আফিমের চাষ বাড়তে থাকে৷ সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও আফিম চাষ তখন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, মূলত তালেবানের সমর্থক অধ্যুষিত সেসব অঞ্চলে আফিম চাষ ক্রমাগত বেড়ে চলার কারণও তালেবান৷
সংগঠনটির যোদ্ধারা গত প্রায় দুই দশক অঞ্চলগুলিতে সমর্থন ধরে রাখার জন্য আফিম চাষিদের কোনো বাধা দেয়নি বলে মনে করেন সাবেক আফগান সেনা কর্মকর্তা৷ তবে গত আগস্টে ক্ষমতায় ফেরার পর আফিম চাষ বন্ধ করার ঘোষণা দেয় তালেবান৷ সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার৷ ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটগ্রস্ত দেশটিতে বহু মানুষ আবার নতুন করে ঝুঁকছে আফিম চাষের দিকে৷ ফলে দ্রুত বাড়ছে আফিম চাষ৷ ইউএনওডিসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের তুলনায় চলতি বছরে আফিম চাষ ইতিমধ্যে ৮ শতাংশ বেড়েছে৷
পপির বীজ নিংড়ে বের করা সাদা দুধের মতো রস শুকিয়ে তৈরি হয় আফিম৷ ইউএনওডিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি বছরে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ১.৮ বিলিয়ন থেকে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখতে পারে আফিম৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মানুষ সহজ আয়ের উপায় হিসেবে আফিম চাষকে বেছে নেবে এটা খুবই স্বাভাবিক৷ এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির কোনো আশা জাগাতে না পারা তালেবান সরকার আফিম চাষ রোধে এখন যে খুব কঠোর ব্যবস্থা নেবে না- এটাও অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।