মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগান তালেবানরা নিজেদেরকে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে যখন তারা স¤প্রতি দাবি করেছে যে, তারা কাবুলে ক্ষমতাসীন আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেট (আইইএ)-এর একটি ‘শাখা’।
টিটিপি প্রধান মুফতি নুর ওয়ালী মাহসুদ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত একটি ভিডিওতে (পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তার সফরের সময় ধারণ করা বলে কথিত) ঘোষণা করেছিলেন যে, তার দলটি আইইএ’র বৃহত্তর ‘ছাতার’ অধীনে এসেছে। সশস্ত্র টিটিপি যোদ্ধাদের পাশে থাকা মাহসুদকে ভিডিওতে বলতে দেখা যায় যখন তিনি একটি গোষ্ঠীকে সম্বোধন করেছিলেন, ‘তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের একটি শাখা [এবং] এ ভূমিতে সেই ছাতার একটি অংশ’।
আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ গত শুক্রবার আরব নিউজের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে আইইএ’র সাথে মাহসুদের অধিভুক্তির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
প্রকাশনায় মুজাহিদকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘তারা একটি সংগঠন হিসাবে আইইএ’র অংশ নয় এবং আমরা একই উদ্দেশ্যের অংশীদার নই’। তিনি বলেন, ‘আমরা টিটিপিকে তাদের দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিই। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা এ অঞ্চলে এবং পাকিস্তানে শত্রæদের হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ ঠেকাতে পারে এবং আমরা এই অঞ্চল ও পাকিস্তানের উন্নতির জন্য তাদের দাবিগুলো দেখার জন্য পাকিস্তানকে অনুরোধ করছি’।
টিটিপি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়, যোগ করে মুজাহিদ বলেছেন, ‘আইইএ’র অবস্থান হল যে, আমরা অন্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা পাকিস্তানের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করি না’।
যুদ্ধবিরতি - শুরু এবং শেষ
আফগান তালেবান উভয় পক্ষের ইচ্ছায় পাকিস্তান এবং টিটিপির মধ্যে মধ্যস্থতা করছে বলে আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি স্বীকার করার প্রায় এক মাস পর আফগান তালেবান মুখপাত্র এ মন্তব্য করলেন।
আফগান তালেবানের আলোচনার সুবিধার্থে নভেম্বর মাসে এক মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল, যা টিটিপি আর কোনো সময় বাড়াতে অস্বীকার করে। তাদের অভিযোগ সরকার আগে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোকে সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টিটিপির জারি করা একটি বিবৃতিতে ছয় দফা চুক্তির বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে যে, তারা গত ২৫ অক্টোবর ‘ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের’ (আইইএ) অধীনে সরকারের সাথে সমঝোতায় পৌঁছে। চুক্তি অনুসারে, উভয় পক্ষই স্বীকার করেছিল যে. আইইএ মধ্যস্থতার ভ‚মিকা পালন করবে এবং উভয় পক্ষই পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করবে যারা মধ্যস্থতার তত্ত্বাবধানে প্রতিটি পক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করবে।
এতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষই গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী যুদ্ধবিরতি পালনে সম্মত হয়েছে এবং সরকার ১০২ ‘বন্দী মুজাহিদিন’কে মুক্তি দেবে এবং ‘আইইএ’র মাধ্যমে টিটিপির কাছে হস্তান্তর করবে এবং উভয় পক্ষই ১ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করবে’।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার শুধু দুই পক্ষের মধ্যে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়নি বরং এর বিপরীতে নিরাপত্তা বাহিনী ডেরা ইসমাইল খান, লাকি মারওয়াত, সোয়াত, বাজাউর, সোয়াবি এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তানে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের হত্যা ও আটক করেছে। টিটিপি বলেছে, ‘এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো সম্ভব নয়’।
যুদ্ধবিরতি শেষ করার টিটিপির সিদ্ধান্তটি কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত জঙ্গিদের সাথে একটি শান্তি চুক্তি সুরক্ষিত করতে সরকারের প্রচেষ্টার জন্য একটি বড় ধাক্কা। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।