পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমীরুল মুজাহিদীন আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী অগ্রহায়ণের মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা।
উদ্বোধনী বয়ানে পীর সাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, চরমোনাই মাহফিল দুনিয়াবি উদ্দেশে নয় বরং পথভোলা মানুষকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সুতরাং এখানে দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আসার প্রয়োজন নেই। যদি এমন কেউ এসে থাকেন তবে নিয়ত পরিবর্তন করে আত্মশুদ্ধির জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
চরমোনাই মাদরাসার মূল মাঠসহ দুইটি মাঠে অনুষ্ঠিত চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে পীর সাহেব আরো বলেন, যারা চরমোনাইতে নতুন এসেছেন, তারা দুনিয়ার ধ্যান-খেয়াল বিদায় করে দিয়ে আখেরাতের খেয়াল-ধ্যান অন্তরে যায়গা দেন। দিল থেকে বড়ত্ব এবং আমিত্ব ভাব বের করে দিয়ে আল্লাহর কুদরতি পায়ে নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে। সদা-সর্বদা আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে দিলকে তরতাজা রেখে আল্লাহর ওলী হয়ে চরমোনাই থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি নেয়ারও আহবান জানান তিনি। পীর সাহেব চরমোনাই তার উদ্বোধনী বয়ানে মাহফিলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে স্পষ্ট বর্ণনা করেন।
এবারের মাহফিলে মূল ৭টি বয়ান ছাড়াও অন্যান্য সময়গুলোতে নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন ও চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মাহফিলের নির্বাহী পরিচালক মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা হাজী সৈয়দ জিয়াউল করীম, শায়েখ ফজলুল করীম (রহ.) এর ভ্রাতা মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমাদ কাওছারসহ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করবেন। আগামী মঙ্গলবার সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে চরমোনাইর তিনদিনের এ মাহফিলের সমাপ্তি ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।