গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিমানের টিকিট সিন্ডিকেটের হাত থেকে বিদেশগামী কর্মীদের বাঁচান। সিন্ডিকেট চক্র বিমানের টিকিট বøক করে বিদেশগামী কর্মীদের কাছে গলাকাটা হারে ভাড়া আদায় করছে। ফ্লাইট সঙ্কটের দরুণ প্রায় ৫০ হাজার বিদেশগামী কর্মী কর্মস্থলে যেতে পারছে না। এসব কর্মীদের স্ব স্ব কর্মস্থলে পৌঁছতে অনতিবিলম্বে বিশেষ ফ্লাইট চালু করতে হবে। ঢাকা থেকে সউদীগামী ওয়ানওয়ে টিকিটের মূল্য ৪০ হাজার টাকা থেকে এখন ৯০ হাজার টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না। বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো তাদের ইচ্ছামত অতিরিক্ত ভাড়া অভিবাসী কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। চড়া মূল্যে টিকিট কিনতে হিমসিম খাচ্ছে বিদেশগামী কর্মীরা। অবিলম্বে বিদেশগামী টিকিটের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। বিমান টিকিটের দুষ্প্রাপ্যতা ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি হলে সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ বায়রা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার সাবেক অর্থ সচিব মো.ফখরুল ইসলাম। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বায়রার সাবেক সভাপতি আলহাজ আবুল বাসার ও সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সাবেক নেতা আশরাফ উদ্দিন, বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান, রাফার মহাসচিব মো. ফরিদ আহমদ, রাফা ঢাকা মহানগর মহাসচিব ও আমান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো.রফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী, বায়রার সাবেক ইসি সদস্য লিমা বেগম, ম্যাস বাংলা ওভারসীজের স্বত্বাধিকারী জামিল হোসেন, হজ জহিরুল জু’ ও মোজাম্মেল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভারত, শ্রীলংকার তুলনায় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিমানের ভাড়া কয়েকগুন বেশী। ঢাকা থেকে ৬ ঘন্টার জার্নি রিয়াদে যেতে ভাড়া লাগে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। অথচ ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক ২৩ ঘন্টার জার্নিতে ভাড়া লাগছে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক রুটে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রী বিমানে যাতায়াত করলেও অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ যাত্রী বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোতে যাতায়াত করে। বিমান নিজেদেরকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন সেক্টরে অপ্রয়োজনীয় মূল্য বৃদ্ধি করে। ফলে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলো বিমানকে অনুসরণ করে ভাড়া বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। যার কারণে নিষ্পেষিত হচ্ছেন বিদেশগামী নিরীহ কর্মীরা। একই সাথে মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশ। বিদেশগামী কর্মীদের ফ্লাইট সঙ্কট দ্রæত নিরসনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত বিশেষ ফ্লাইট চালু এবং অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে লেবার ফেয়ার চালু করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন বায়রার সাবেক সভাপতি আলহাজ আবুল বাসার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।