Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডায়ালাইসিস, সম্ভাব্য সমস্যাবলি এবং চুলকানি

| প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

ডায়ালাইসিস কীঃ

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘদিনের কিডনী রোগ বা অন্য কোন কারণে কিডনী নষ্ট বা অথর্ব হইয়ে গেলে, কিডনীর কাজ কৃত্রিমভাবে মেশিনের সাহায্যে মোটামুটি সারিয়ে নিয়ে অনেকটা ভালো থাকা যায়। এ প্রক্রিয়াকে ডায়ালাইসিস বলে।

ডায়ালাইসিসের সম্ভাব্য সমস্যাবলিঃ
নিয়মিত ডায়ালাইসিসের ফলে এ সকল রোগীদের চলাফেরা, কাজকর্ম ও জীবন যাপনে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এলেও, মাঝে মাঝে রক্তচাপ কমে বা বেড়ে যাওয়া, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, শরীর ব্যাথা, হাত-পায়ের মাংশ টেনে আসা, নিদ্রাহীনতা, দুর্বলতা ও চুলকানিসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়ালাইসিসের সময় কিছু জরুরী সমস্যার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা হলেও বাকিগুলোর জন্য ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ পথ্য গ্রহণ ও নিয়মকানুন মেনে চলা একান্ত দরকার।

চুলকানি কমানোর কিছু উপায়ঃ
ডায়ালাইসিসকারীদের অনেকেরই চামড়ায় চুলকানির সমস্যা হয়। এ সমস্যা ডায়ালাইসিসের সময় বা তার অব্যবহিত পরে, মাঝে মাঝে বা অনবরতও হতে পারে। চুলকাতে গিয়ে অনেকের শরীরে ফোস্কা পড়ে যায় ও তা সারতেও সময় লাগে। এসকল রোগীদের শরীরে অতিরিক্ত ফসফরাসের জন্য এমনটি হয়ে থাকে বলে সাধারণভাবে মনে করা হয়। ডায়ালাইসিসের কারণেও চামড়ায় পানির স্বল্পতার জন্য চুলকানি হতে পারে। তাছাড়া ডায়ালাইসিসের সময় কৃত্রিম কিডনীতে (ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত মেশিন) ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিকের প্রতি অ্যালার্জি ও রক্তে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থের জন্যও চুলকানির উদ্রেক হতে পারে। ডায়ালাইসিস কারীদের ঘুম এমনিতেই কম হয়। চুলকানির জন্য নিদ্রাহীনতা আরো বেড়ে যেতে পারে। কিছু নিয়ম মেনে চললে রোগীদের চুলকানি লাঘবে অনেকটা উপকার হয়। যেমন ডায়ালাইসিসকারীদের –

কিডনী-বান্ধব অল্প ফসফরাসযুক্ত খাদ্য যেমন-শুকনো চেরিফল বা কিশমিশ, স্ট্রবেরী, গাজর, ফুলকপি, শসা, পপকর্ণ, মাছ ও দেশী মুরগীর মাংশ খাওয়া উচিত।

প্রত্যহ গোসল করা দরকার। গোসলে কুসুম গরমের চেয়ে বেশী উত্তপ্ত পানি ব্যবহার করা ঠিক না। গোসলের পর চামড়ায় ময়শ্চারাইজিং ক্রিম, জেল বা লোশন ব্যবহার করা হিতকর।

নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুতির কাপড় পরা দরকার।
চুলকানির জায়গায় শীতল জলপট্টি দিলে চুলকানি কমে।
গায়ে নিয়মিত ও পরিমিত মাত্রায় সূর্যের আলো লাগিয়েও (১৫-২০ মিনিট) চুলকানি কমানো যায়।
এন্টিহিস্টামিন খেলে ও কেলামিলন লোশন লাগালে চুলকানি কমে।
অতিরিক্ত চুলকানি হলে, অতিবেগুনী রশ্মি যুক্ত ফটোথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।

ডাঃ নাসির উদ্দীন মাহমুদ (রাসেল)
ইয়ামাগাতা হাসপাতাল, ব্লক-এ, লালমাটিয়া, ঢাকা
মোবাইল: ০১৯৮০৪৮৫০০৭
ইমেইল: [email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন