মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। ৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠন ওআইসির সভাপতি সউদী আরব সংগঠনটির শীর্ষ ক‚টনীতিকদের বৈঠক ডাকার উদ্যোগ নেওয়ার পর পাকিস্তান এ প্রস্তাব দেয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি গত সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তান এ উদ্যোগকে পুরোপুরি সমর্থন করে। আমরা ১৭ ডিসেম্বর ২০২১-এ ইসলামাবাদে সম্মেলন আয়োজন করার প্রস্তাবও দিয়েছি। আমরা নিশ্চিত যে, ওআইসি সদস্য দেশগুলো প্রস্তাবটিকে সমর্থন করবে।’
কুরেশি বলেন, ‘সউদী আরব আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বিবেচনা করার জন্য ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে একটি অসাধারণ অধিবেশনের করার গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান ওআইসির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। উম্মাহর অংশ হিসেবে আমরা আফগানিস্তানের জনগণের সাথে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।’
ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক এমন এক সময়ে ডাকা হচ্ছে যখন আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডবিøউএফপি) অনুসারে, প্রায় ২৩ মিলিয়ন আফগানদের যদি জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়, তাহলে তারা অনাহারের দ্বারপ্রান্তে থাকবে। অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তালেবান সরকারের সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যে, গত সপ্তাহে জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস দেশটির স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে।
এদিকে, তালেবান সরকার আফগানিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করার জন্য দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ খালাস করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে যাচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তান, চীন, রাশিয়াসহ অন্য দেশগুলোর আহ্বান সত্তে¡ও ওয়াশিংটন তালেবান সরকারকে তা ব্যবহার করতে দিতে প্রস্তুত নয়। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, আফগান ভাই-বোনদের ওআইসির সাহায্য আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন।
কুরেশি বলেন, ‘আপনারা যেমন অবগত আছেন, আফগানিস্তান বর্তমানে একটি গুরুতর মানবিক পরিস্থিতির মুখোমুখি, নারী ও শিশুসহ লক্ষাধিক আফগান খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জীবন সরবরাহের ঘাটতির কারণে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। শীতের আগমন মানবিক সঙ্কটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’
তিনি আফগানিস্তানকে সাহায্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আফগান জনগণের মানবিক চাহিদা দ‚র করার জন্য, তাদের অবিলম্বে এবং টেকসই সহায়তা প্রদান করার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত এবং আফগানিস্তানের অস্তিত্ব ও উন্নয়নের জন্য তাদের সাথে যুক্ত থাকা উচিত। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।