মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে তাদের অভিযানে সহায়তা করতে চীন একটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট অনুসারে, চুল্লিটি এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে এবং নাসা যে অনুরূপ ডিভাইসে কাজ করছে তার চেয়ে এটি ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করা হয়েছে।
নাসা যে চুল্লি তৈরি করছে তার শক্তির উৎস চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসবাসে সমর্থ করার জন্য ব্যবহার করা হবে এবং দশকের শেষের দিকে এটি তৈরি করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই বিজ্ঞানীর মতে, রাসায়নিক জ্বালানি এবং সৌরশক্তি মানুষের মহাকাশ অনুসন্ধান এবং অন্যান্য সংস্থায় সম্ভাব্য বসতির চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট হবে না। একজন বলেছেন, ‘পারমাণবিক শক্তি সবচেয়ে আশাব্যাঞ্জক সমাধান। অন্যান্য দেশ কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা চালু করেছে। চীন এই রেস হারানোর খরচ বহন করতে পারে না।’ এটা প্রত্যাশিত যে, চীনের নতুন মেগাওয়াট মহাকাশ চুল্লি ঠাণ্ডা করার সময় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে; এটি থেকে উৎপন্ন তাপের কিছু অংশ বিদ্যুৎ তৈরি করতেই ব্যবহার করা যেতে পারে, বাকিটা অবশ্যই গলে যাওয়া এড়াতে মহাকাশে ছড়িয়ে দিতে হবে। চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার সেফটি টেকনোলজির অধ্যাপক জিয়াং জিয়াকিং পরামর্শ দিয়েছেন যে, চুল্লিটিতে রেডিয়েটরগুলোর পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল বাড়ানোর জন্য ছাতার মতো একটি ভাঁজযোগ্য কাঠামো ব্যবহার করা হতে পারে।
অনেকে ধারণা করছেন, গবেষণা দল ছোট চুল্লি তৈরি করছে যা একটি বড় মেশিনে বসানো করা যেতে পারে, তারপরে এটি দিয়ে মঙ্গলগ্রহে নভোচারীদের পাঠানোর জন্য বড় আয়ন থ্রাস্টার চালানো যেতে পারে। ছোট আকারের হওয়ার কারণে এটি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি তাপমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে। নক্ষত্রের ওপর বসতি স্থাপনের জন্য মানবতার দৌড় মহাকাশের ধ্বংসাবশেষের সমস্যাসহ কিছু সমস্যা নিয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ২২৮ মিলিয়ন টুকরো মহাকাশ ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, তবে অনেক দেশ এটি মোকাবেলা করতে চেষ্টা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্রের মতে, চলতি মাসে একটি রাশিয়ান স্যাটেলাইট একটি পরীক্ষায় উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল যার ফলে কয়েক হাজার ধ্বংসাবশেষ কক্ষপথে আটকে যায় এবং এটি ‘সমস্ত জাতির স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরূপ’ বলে মনে করা হয়েছিল।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে যে, মহাকাশের পারমাণবিক চুল্লী কার্যক্রমকে ঘিরে গোপনীয়তার অর্থ হল এমন কোনো আইন নেই যা দুর্ঘটনা, এই ধরনের অপ্রচলিত উৎক্ষেপণ বা মহাকাশে গলে যাওয়া মোকাবেলা করতে পারে। সাংহাই ইনস্টিটিউট অফ স্পেস-এর মহাকাশ বিজ্ঞানী ঝাং জে বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রযুক্তিগত অবস্থার সাথে উপযোগী একটি নিরাপত্তা মূল্যায়ন এবং ব্যবস্থা স্থাপন করা জরুরি, সাধারণ জনগণের উদ্বেগ কমাতে গবেষণা ও উন্নয়ন অগ্রগতিতে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’ সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।