মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শীত আসতে থাকায় আফগানিস্তানে মানবিক সংকট আরো ঘনিয়ে আসছে। সময়ের বিপরীতে দৌড়েও পরিস্থিতি সামলা দিতে পারছেন না মানবিক সহায়তাকর্মীরা।
একদিকে মানুষের খাদ্যের অভাব অন্যদিকে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের গতি কমতে থাকায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ক্রমশই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল সংস্থা ইউনিসেফ। তাদের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সামান্থা মর্ট ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, দেশটির দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষের এখন সহায়তা প্রয়োজন। এই বিরাট জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকা সংকটে পরিণত হচ্ছে।
বিশেষ করে শীত আসতে থাকায় ইউনিসেফসহ মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোকে এখন রীতিমত সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ইউনিসেফ সহায়তা নিয়ে আসছে, পাকিস্তানের সীমান্ত দিয়েও সহায়তা আসছে, কিন্তু প্রতিদিনই ঠাণ্ডা বেড়ে চলছে।''
এরই মধ্যে পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বরফ পড়তে শুরু করেছে। কিছু কিছু জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আগে মানুষকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছানো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানান সামান্থা।
‘আফগানিস্তান মানবিক দুর্যোগের মুখে' রয়েছে বলে গত সপ্তাহে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূতও। তিনি জানান, প্রায় চার কোটি জনগোষ্ঠীর দেশটির ২২ শতাংশ মানুষ প্রায় দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে। আরো ৩৬ শতাংশ প্রচণ্ড খাদ্যা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন, যাদের প্রয়োজনীয় খাবার কেনার সামর্থ্য নেই।
এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফএও এর প্রতিনিধি রিচার্ড ট্রেনচার্ড ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। গ্রাম ছাড়িয়ে প্রতি ১০ শহরের নয়টিতেই খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। তিনি মনে করেন, দেশটিতে কাজ করা মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো আগামী বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আফগানিস্তানের জন্য ৪০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থের আহ্বান জানাবে। এর আগে কোন দেশের মানবিক সহায়তায় এত বড় অঙ্কের অর্থের আবেদন জানানোর উদাহরণ নেই।
গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের অর্থনীতি ৪০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। দেশটির ধ্বসে পড়া অর্থনীতি উগ্রবাদের শঙ্কা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।