মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হত্যার অভিযোগে শাস্তি হয়েছিল কেভিন স্টিকল্যান্ডের। ভুল শাস্তি। ৪৩ বছর পর মুক্তি পেলেন এই নিরপরাধ কৃষ্ণাঙ্গ। চার দশকের বেশি সময় ধরে বিনা দোষে জেল খাটার পরেও ৬২ বছর বয়সি এই কৃষ্ণাঙ্গকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে না। মঙ্গলবার বিচারক কেভিনের মুক্তির আদেশ দেন।
১৯৭৯ সালে তিনজনকে হত্যার দায়ে কেভিনকে শাস্তি দেয়া হয়। জুরিরা সকলেই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ। ৪৩ বছর পর সরকারি আইনজীবীরা চলতি বছরের গোড়ায় জানিয়েছিলেন, কেভিন নিরপরাধ। জুরিদের রায় ভুল ছিল। এরপর বিচারক জেমস ওয়েলশ তাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন।
সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কেভিন বলেছেন, ''আমি রেগে নেই। আমি জানি, যথেষ্ট হয়েছে। কিন্তু আপনাদের মধ্যে আমি আবেগ তৈরি করতে পেরেছি। এই ধরনের আবেগ সম্ভবত আপনাদের মধ্যে আগে আসেনি।'' কেভিন বলেন, ''আমার আনন্দ, দুঃখ, ভয় সবই হচ্ছে।''
কেভিনের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রমাণ ছিল প্রত্যক্ষদর্শী সিন্থিয়া স্ট্রিকল্যান্ডের সাক্ষ্য। সিন্থিয়াই ছিলেন একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। আদালতে তিনি জানান, কেভিনকে তিনি দেখেছেন। পরে সিন্থিয়া বলেছিলেন, পুলিশ জোর করে তাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। তাই তিনি কেভিনের নাম বলেছিলেন। পরে তিনি বারবার এই বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ২০১৫ সালে তার মৃত্যু হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরো দুইজনের শাস্তি হয়। তারাও জানিয়েছিলেন, হত্যার সঙ্গে কেভিন কোনোভাবে জড়িত ছিলেন না। তারা অন্য দুইজনের নাম বলেছিলেন। কিন্তু তাদের শাস্তি দেয়া হয়নি। প্রথম বিচারের সময় একজন কৃষ্ণাঙ্গ জুরি ছিলেন। তিনি কেভিনকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। দ্বিতীয়বার বিচারের সময় তিনজন জুরিই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ। তারা রায় দেন, কেভিন দোষী।
রিপাবলিকান পার্টির দুই নেতা অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্কিমিট এবং মিসৌরির গভর্নর মাইক পারসন কেভিনের মুক্তির বিরোধিতা করেছেন। তারা এই মুক্তি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। মিডওয়েস্ট ইনোসেন্ট প্রজেক্টের ডিরেক্টর ট্রিসিয়া রোজো বুশনেল বলেছেন, কেভিনকে মুক্তি দিতে দেরি করা হয়েছে। তিনি যে বিনা দোষে ৪৩ বছর জেলে কাটালেন, তার জন্য কোনো ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে না।
মিসৌরির নিয়ম হলো, একমাত্র ডিএনএ পরীক্ষা করে যদি প্রমাণ হয় কাউকে ভুল করে জেলে পাঠানো হয়েছে, তবেই তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন। বুশনেল বলেছেন, ''এটা ন্যায়বিচার নয়। আমার মনে হয়, যারা এই বিষয়টি নিয়ে এত উৎসাহ দেখিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই প্রশ্ন তুলবেন, আমাদের বিচারব্যবস্থা কি এরকমই হওয়া উচিত?'' সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।