Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমিরাতের রাজকুমারীর প্রতিবাদ : শান্তির দেশে ইসলাম ফোবিয়াক্রান্ত সুধীর কেন?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩০ এএম

সুধীর চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে রাজকুমারীর সাথে আরো অনেকে যোগ দিয়েছেন। সাংবাদিক রাকিব আহমেদ নায়েক ইউএই কর্মকর্তাসহ আবু ধাবির যুবরাজ মুহাম্মদ বিন জায়েদকে ট্যাগ করে ট্যুইটে লিখছেন, উগ্রপন্থী হিন্দু টিভি অ্যাঙ্কর সুধীর চৌধুরি মুসলিম-বিদ্বেষী হিসেবে সুপরিচিত। তিনি মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য কুখ্যাত। তাকে শুধু আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, তাকে বিশিষ্ট বক্তাদের তালিকায় রাখা হয়েছে। কেন ইউএইতে এই ধরনের মুসলিমবিদ্বেষী এবং বিপজ্জনক ব্যক্তিকে ডেকে আনা হচ্ছে? সাংবাদিক এবং লেখক সম্রাট এক্স লিখেছেন, সুধীর চৌধুরি এখন বিশ্বে সর্বত্রই অবাঞ্ছিত।

নেটিজেন নুসায়াভ লিখেছেন সুধীর চৌধুরি তথাকথিত ‘করোনা জেহাদ’-এর কথা প্রচার করে ভারতের মুসলিমদের ‘দানব’হিসেবে চিত্রিত করেছিলেন। তার ইউএইতে আসার আমন্ত্রণ অবিলম্বে বাতিল করা হোক।

ভারতের মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত জি-নিউজের প্রধান সম্পাদক সুধীর চৌধুরিকে ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের (ইউএই) একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোকে ঘিরে বিতর্ক এবং প্রতিবাদে উত্তাল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি বহু নেটিজেন ট্যুইট করে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আগামী ২৫-২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইন্সটিটিউট অফ চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়ার (আইসিএআই) আবু ধাবি চ্যপ্টারের বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আর এই সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জি নিউজের প্রধান সম্পাদক সুধীর চৌধুরিকে।

এই আমন্ত্রণকে ঘিরে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পড়তে হচ্ছে সেখানকার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে। শুধু সাধারণ নন, অসাধারণ ব্যক্তিরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সুধীর চৌধুরিকে আমন্ত্রণ জানানোর বিরুদ্ধে। আমিরাতের রাজকুমারী এবং সমাজসেবা ও আর্থিক সহায়তার জন্য যিনি ইতিমধ্যে বিখ্যাত সেই হেন্দ বিন ফয়সাল আল কাসমি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের প্রশ্ন করেছেন, কোন সাহসে আপানারা একজন ইসলাম-বিদ্বেষীকে আমার শান্তিপূর্ণ দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন?

রাজকুমারী হেন্দ ট্যুইট করে বলেন, সুধীর চৌধুরি হলেন একজন দক্ষিণপন্থী হিন্দু টিভি সঞ্চালক। তার মতো ইসলাম-বিদ্বেষী সঞ্চালকের অনুষ্ঠানগুলোতে ভারতের ২০০ মিলিয়ন মুসলিমকে আক্রমণের নিশানা করা হয়ে থাকে। তার অধিকাংশ অনুষ্ঠান সরাসরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপর একটি ট্যুইটে রাজকুমারী হেন্দ লেখেন, ২০১৯/২০২০ সালে সুধীর চৌধুরি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত মুসলিমরা তার বিষোদ্গারের শিকার হয়েছিলেন। সুধীর ভুয়া খবর সম্প্রচার করে মুসলিম ছাত্র এবং মহিলাদের তার আক্রমণের শিকার করেছিলেন। যারা শাহিনবাগ এবং দেশের অন্যত্র সিএএ-বিরোধী অন্দোলন চালাচ্ছিলেন।

সূত্র : পুবের কলম



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমিরাত

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ