মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন কোন আধিপত্য করতে চায় না। ফলে তারা কখনই ছোট আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের হয়রানি করবে না। সোমবার আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তিনি ১০ দেশের এই ব্লকের সাথে একটি ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।
শি সোমবার সকালে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে চীন-আসিয়ান সংলাপ সম্পর্কের ৩০তম বার্ষিকী স্মরণে বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘চীন একটি ভাল প্রতিবেশী, একটি ভাল বন্ধু এবং আসিয়ানের একটি ভাল অংশীদার ছিল, আছে এবং থাকবে।’ চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে শি জিনপিংয়ের বরাতে বলা হয়, বেইজিং কখনই ছোট দেশগুলোর প্রতি আধিপত্য জারি রাখতে চাইবে না। তাদের আকার-আয়তনের সুবিধাও নেবে না। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ দূর করতে আসিয়ানের সঙ্গে কাজ করবে। তিনি আরও বলেছেন, এই অঞ্চল ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো পরাশক্তির প্রতিযোগিতা এবং দ্বন্দ্বে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। চীন ও আসিয়ান ‘স্নায়ুযুদ্ধের গ্লানি দূর করেছিল’ এবং যৌথভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছিল।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০ দেশের সংস্থা ‘আসিয়ান’র শীর্ষ সম্মেলন শুরু হলো। এর সদস্য ফিলিপাইনস, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীনের বিবাদ রয়েছে। আসিয়ানের অন্য সদস্যরাষ্ট্রগুলো হচ্ছে কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড। দক্ষিণ চীন সাগরে সার্বভৌমত্বের দাবি করে চীন। আসিয়ানের সদস্য ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনও একই দাবি করেছে। এ ছাড়া তাইওয়ান, ব্রুনাই এবং মালয়েশিয়াও দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশের মালিকানা দাবি করে। গেল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন-অধিকৃত একটি প্রবালদ্বীপে ফিলিপাইনের নৌকা লক্ষ্য করে জলকামান নিক্ষেপ করেছে চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিনটি নৌযান। যানে জলকামান ছোড়ার এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা জানিয়েছে ফিলিপাইন।
এদিকে, এবারের সম্মেলনে মিয়ানমারের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ জানা যায়নি। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের মুখপাত্রকে ফোন করেও উত্তর পাওয়া যায়নি। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমার আসিয়ানের কোনো প্রতিনিধিকে অং সান সু চিসহ আটক করা অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি। সে কারণে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের শাসক জেনারেল মিন অং লায়িংকে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। সূত্র: গ্লোবাল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।