মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত দুই দশকে বৈশ্বিক সম্পদ তিনগুণ বেড়েছে, যেখানে চীন নেতৃত্ব দিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বে শীর্ষস্থান দখল করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে এখন বিশ্বের এক নম্বর ধনী দেশ চীন।
কনসালট্যান্ট বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনসে অ্যান্ড কোং-এর গবেষণা শাখা থেকে প্রকাশিত এক নতুন রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি সোমবার ম্যাককিনেসি অ্যান্ড কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, গত দুই দশকে বিশ্বের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুন। এর মধ্যে শীর্ষে আছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০০ সালের বিশ্বের নিট সম্পদ ১৫৬ ট্রিলিয়ন থেকে ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৪ ট্রিলিয়ন ডলারে। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে মোট আয়ের শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি প্রতিনিধিত্ব করে এমন দশটি দেশের জাতীয় ব্যালেন্স শিট পরীক্ষা করে দেখেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। জার্মানির জুরিখ থেকে ম্যাকিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের অংশীদার জ্যান মিশ্চকে বলেছেন, আগের চেয়ে এখন আমরা অনেক বেশি সম্পদশালী।
২০০০ সালে চীনের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। তা আকাশচুম্বী গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদের নীরব মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তারা পিছিয়ে পড়েছে। তাদের নিট সম্পদ এ সময়ে দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ ট্রিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি অর্থনীতির দেশ। এ দুটি দেশেই সম্পদের কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশ আটকে আছে শতকরা মাত্র ১০ ভাগ ধনী মানুষের হাতে। এছাড়াও তাদের শেয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে তো পাচ্ছেই। ম্যাকিনসের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট সম্পদের শতকরা ৬৮ ভাগই ব্যয় করা হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাতে। এসব ব্যয় হয়েছে অবকাঠামো, মেশিনারিজ এবং বিভিন্ন সরঞ্জামে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের প্রধান প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র। গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নিট সম্পদের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বেড়ে তা ৯০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়ায়। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ১০ শতাংশ ধনকুবেরের হাতে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সম্পদ রয়েছে। এই ধনকুবেরদের সম্পদ দিন দিন বেড়েই চলছে। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।