Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে রুটে সীমিত ফেরি চলাচলে ভোগান্তিতে ২১ জেলার মানুষ

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচলের কারণে প্রতিদিন ঘাট এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে আটকে থাকছে যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এই পথে যাতায়াতকারী দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের। রাজধানী ঢাকা সাথে যোগাযোগে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে,কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে তা বলতে পারছেন না ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা পরেও ফিরে যেতে হচ্ছে আনেক যাত্রীদের। স্থানিয়রা জানান,আগে এ রুটে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারে মারাত্মকভাবে বেগ পেতে হতো সেখানে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি সংকটের কারনে শত শত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।যাত্রীরা বলেন, ঘাটে ২টার সময় এসেও ফেরিতে পার হওয়া যাচ্ছে না, লাইনে থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থেকে ৪টার পর ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়, তখন ফেরি না পেয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটে প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস পিকআপ ভ্যানের দীর্ঘ লাইন। পার্কিংয়ে অন্তত ২ শতাধিক গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি ঘাটে ভিড়লেই গাড়ি ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু হতে দেখা যাচ্ছে।
কাঁচামাল ব্যাবসায়ী সুরুজ মিয়া বলেন,ফেরিতে বড় গাড়ি পারাপার না করায় ছোট পিকআপ দিয়ে মালামাল নিতে হচ্ছে,এতে পরিবহন ভাড়া দ্বীগুন গুনতে হচ্ছে,ব্যাবসা যা হচ্ছে সবটুকুই ছোট গাড়ি দিয়ে পরিবহন করার কারনে বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাগামী যাত্রী সুমন সরদার বলেন,অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে শত শত যানবাহন এখানেও দেখছি একই দৃশ্য দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফেরি পার হলাম। ফেরি ঘাটে ভিড়লেই গাড়ি ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। যাত্রী শিউলি বেগম বলেন, গত ৩ ঘণ্টা ধরে ঘাটে বসে আছি। ফেরিতে উঠতে অন্তত আরও এক ঘণ্টা সময় লাগবে। ফেরি সংকটের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হচ্ছে এই দুর্ভোগের অবসান হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শাফায়াত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,দীর্ঘ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর বিআইডব্লিউটিসি,বিআইডব্লিউটিএ,সেনাবাহিনী ও পদ্মা সেতু কতৃপক্ষের যৌথ আলোচনায় ফেরি চলাচল করার নির্দেশ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৪টা কিংবা সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। ৪টি মিডিয়াম কে-টাইপ ফেরিতে সীমিত সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীর দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছু করার নেই। উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা ফেরি সচল রেখেছি। সে সাথে যাত্রীদের সর্তকমূলক বার্তা। মানে বিকল্প রুট ব্যবহারের জন্য সব সময় মাইকিং করা হচ্ছে।


উল্লেখ্য এর আগে প্রচণ্ড স্রোতে পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ধাক্কার ঘটনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিআইডব্লিউটিসি। দীর্ঘ ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৪ অক্টোবর সীমিত ভাবে ফেরি সচল থাকলেও মাত্র ৭ দিন পর একই কারণে ১১ অক্টোবর আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডাব্লিউটিসি। ফেরি বন্ধ হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোয়াতে হয়।#

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোগান্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ