Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংস্কারের দাবিতে থাইল্যান্ডে ফের বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১৭ পিএম

রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে ফের থাইল্যান্ডের রাজপথে সমবেত হয়েছে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা। রোববার রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় জড়ো হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আদালতের এক রুল জারির পর এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভে অংশ নেয়াদের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। এর আগে গত বছর থাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চেন-ওচার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ হয়। সাবেক সেনা প্রধান ওচা এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় আসেন।
দাঙ্গা পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে এগিয়ে যায়। তাদের হাতে হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে ‘নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র নয়’ এবং ‘সংস্কার বিলুপ্তি নয়’ লেখা ছিল।
বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে ব্যাংককের জার্মান দূতাবাসের সামনে উপস্থিত হওয়ার পর এক বিক্ষোভকারী একটি বিবৃতি পাঠ করেন, এতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে থাইল্যান্ড গণতন্ত্র থেকে দূরে সরে গিয়ে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রে ফিরে যাচ্ছে। এই দেশ অবশ্যই এমন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে শাসিত হবে যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে, এটি প্রতিষ্ঠার জন্যই এ লড়াই।”
গত বছরের অক্টোবরেও বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে জার্মান দূতাবাসে গিয়েছিল। থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকরন অধিকাংশ সময়ই জার্মানিতে থাকেন।
বিক্ষোভকারী পিয়াউয়িথ পলিসুয়ান (২৫) বলেন, “আপনারা (কর্তৃপক্ষ) শুধু নিজেদের ইচ্ছানুযায়ীই কাজ করতে চান আর বিরুদ্ধবাদীদের খারাপ মানুষ হিসেবে দেখেন, সমাজ যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে আমরা সামনে এগবো কী করে?”
এই প্রতিবাদ থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলা নিষেধাজ্ঞাকে ভেঙে দিয়েছে। দেশটির আইন অনুযায়ী রাজতন্ত্রের অবমাননার দায়ে যে কারো সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
‘থাই লইয়ার্স ফর হিউম্যান রাইটস’ গোষ্ঠীর রেকর্ড অনুযায়ী, গত বছর আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ওই আইনের অধীনে অন্ততপক্ষে ১৫৭ জন শাস্তি পেয়েছেন।
গত বছর সাবেক অভ্যুত্থান নেতা, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচাকে (৬৬) অপসারণের দাবিতে তরুণদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েক দশকের মধ্যে এই আন্দোলনটি দেশটির রাজতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
গত সপ্তাহে দেওয়া এক রায়ে দেশটির সাংবিধানিক আদালত বলেছে, গত বছরের অগাস্টে আন্দোলনকারী তিন নেতার জানানো রাজতন্ত্র সংস্কারের আহ্বান অসাংবিধানিক এবং প্রতিষ্ঠানের পতন ঘটানোর ষড়যন্ত্র।
রোববার মিছিল চলাকালে তিন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। ঘটনাগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: থাইল্যান্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ