মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত কয়েক বছরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক-কৌশলগত সম্পর্কের ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে। আগস্টের শেষ দিকে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে শোনা যাচ্ছে যে, তারা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘ওভার-দ্য-হরাইজন’ হামলা চালানোর জন্য আঞ্চলিক ঘাঁটি স্থাপনের চেষ্টা করছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের প্রাসঙ্গিক সুযোগগুলির অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে পারে।
রশিয়া-২৪ টিভি চ্যানেলের একটি সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভের বলেন, ‘আমেরিকানদের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে ভালভাবে জেনেই, আমি উড়িয়ে দিচ্ছি না যে তারা বিভিন্ন দিক থেকে একই লক্ষ্যের জন্য চাপ দেবে। আমি শুনেছি যে তারা ভারতীয় ভূখণ্ডে পেন্টাগনকে কিছু সুযোগ দেওয়ার জন্য ভারতকে রাজি করার চেষ্টা করছে।’ যদিও তিনি বলেননি যে ভারত সম্মতি দেবেই। তবে এক্ষেত্রে ভারতের সম্মতি এঅঞ্চলে বড় ধরণের ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন ডেকে আনবে। যেহেতু রাশিয়া ভারতের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদার, ল্যাভরভের উদ্বেগগুলি উড়িয়ে দেয়ার মতো নয়। আফগানিস্তানের অজুহাতে পেন্টাগনের ভারতীয় ভূখণ্ডে সামরিক স্থাপনার সম্ভাবনার মধ্যে এটি লক্ষ করা দরকার যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে তার ড্রোন, যুদ্ধবিমান দিয়ে স্থলবেষ্টিত দেশটিকে সরাসরি আক্রমণ করতে পারবে না। তাদেরকে পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। ভারত ও পাকিস্তান দুই পারমাণবিক সশস্ত্র দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীর মধ্যে সুপরিচিত উত্তেজনা বিবেচনা করে ইসলামাবাদ ভারত-ভিত্তিক কোনো বাহিনীকে তা করার অনুমতি দেবে, এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
এদিকে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণগুলি দৃঢ়ভাবে বলছে যে, আফগান-বিরোধী অজুহাতে মার্কিন বাহিনীর যে কোনও সম্ভাব্য ঘাঁটি চীনের বিরুদ্ধে ভারতের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি কৌশল হতে পারে, যার সাথে ভারত তার পার্বত্য সীমান্তে একটি আঞ্চলিক বিবাদে লিপ্ত এবং সংঘর্ষের দিকে নিয়ে গেছে। তবে, ভারত মার্কিন ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দিলে তার আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতার এবং চীনের সাথে তার সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। এটি হবে একটি অভূতপূর্ব প্রতিকূল পদক্ষেপ, যা অবশ্যই চীনকে এই ধরনের পরিবর্তিত কৌশলগত পরিস্থিতিতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে। আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে গেলে, ভারত একটি পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে, যার লক্ষ্য হ’ল, অন্যের বিরুদ্ধে একজনের পক্ষ না নিয়ে বিশ্বের প্রধান দেশগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা। বাস্তবে, যাইহোক, মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়াড, যা অনেক পর্যবেক্ষক চীনকে দমিয়ে রাখার জন্য একটি উদীয়মান সামরিক জোট হিসাবে বিবেচনা করে, সেখানে দেশটির অংশগ্রহন বলে দেয় যে, তার এই নীতিটি আন্তরিকভাবে অনুশীলন করা হয়নি। ভারত অবশ্য স্বীকার করে না যে, তার এই ধরনের কোনো উদ্দেশ্য আছে, তবে প্রায়শই চীনের প্রতি দেশটি বৈরী আচরণ করে, যা মার্কিন স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ভারতে মার্কিন ঘাঁটি বসলে তা কৌশলগত আঞ্চলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে অবিলম্বে ইউরেশিয়াকেও অস্থিতিশীল করে তুলবে, বহুমুখী বিআরআইসিএস এবং এসসিও জোটের কার্যক্ষমতা হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি করবে যেখানে ইউরেশিয়া এবং চীন উভয়েরই অংশগ্রহণ রয়েছে। এই পরিণতির কথা মাথায় রেখে, যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করার সম্ভাবনাকে নয়াদিল্লির গুরুত্ব সহকারে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। ইস্যুটির সংবেদনশীলতা সত্ত্বেও ল্যাভরভ যেভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, তা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য। তাই আশা করা যায় যে, এই বিষয়ে ভারত শীঘ্রই তার অবস্থান স্পষ্ট করবে। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।