বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জন্ম নিবন্ধন সনদ’র তথ্য ভুলের কারণে ভোগান্তিতে মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সরেজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন পরিষদে দেখা যায়, জন্ম নিবন্ধনে ভুল থাকার কারণে অনেকেই জন্ম নিবন্ধন সনদের ভুল সংশোধন করতে ভিড় জমাচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদ নিবন্ধকের কার্যালয়। আর এ জন্য পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি৷সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাথীদের ইউনিক আইডি (শিক্ষার্থী পরিচয় পত্র) তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন ভেড়িফাই কপিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে খোঁজতে গিয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। আবার অনেকের মূল জন্ম সনদের সঙ্গে অনলাইন জন্ম সনদের হুবাহুব মিল নেই। আবার কারও কারও ব্যক্তিগত পরিচিতি নং ১৭ সংখ্যার স্থানে ১৫ সংখ্যা রয়েছে যা শুদ্ধ জন্ম নিবন্ধন সনদ নয়। এ কারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে ইউনিক আইডির জন্য প্রোয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এদিকে, কারও নাম সহজে সংশোধন করা গেলেও জন্ম তারিখের বেলায় হচ্ছে সমস্যা। কাগজ পত্রের তালিকায় এসএসসি সনদের কথা বলা হলেও যাদের বয়স ১৫ বছরের কম তাদের এসএসসি সনদ দাখিল করা অসম্ভব। যাদের শিক্ষাগত সনদ রয়েছে তাদের অনেকের বয়স সংশোধন করতে গিয়ে দেখা গেছে একাডেমিক সনদে যে বয়স রয়েছে তার পূর্বে জন্ম সনদ নিবন্ধিত হয়েছে। যে কারণে বয়স সংশোধন করতে অনেকেই পড়ছেন বিপাকে। আবার এ ক্ষেত্রে ভোগান্তির পাশাপাশি সরকারি নির্দেশের বাইরে অতিরিক্ত কয়েক গুণ বেশি টাকা গুণতে হচ্ছে ভুল সংশোধনের জন্য। খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, উপজেলার দেউলী সুবিদখালী গ্রামের , ফারজানা, মো. তামিম হোসেন, কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মিম আক্তার, সোহেল, তামিম, মজিদবাড়িয়া গ্রামের , নাজিফা, আশিকুর রহমান, অনেকেরই জন্ম সনদে এ ধরনের ভুল রয়েছে। দেউলী সুবিদখালী গ্রামের শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ‘আমার দুইটি ছেলের জন্ম সনদে ভুল রয়েছে। এটি নজরে আসার পর এখন সংশোধনের জন্য বিপাকে পড়েছি। এ গ্রামের আরো অনেক ছেলে মেয়ের জন্ম সনদে ভুল রয়েছে।
সুবিদখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, যখন জন্ম নিবন্ধন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তখন অনেক অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে এ জরিপ করানো হয়েছে। তাই অনেকের নামের শুদ্ধ বানান বা জন্ম তথ্য সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারেনি। এছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ না করে একই বাড়ি বসে আশপাশের কয়েক বাড়ির তথ্য সংগ্রহ করার কারণে এ ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। জন্ম সনদে ভুলের কারণে বেশি বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, সকলের জন্ম সনদ অনলাইনের আওতায় আনা হবে৷ এবং কোন পরিষদে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে৷
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।