মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই তার সঙ্গী আসের মালিককে ইসলামিক রীতিতে বিয়ে করেছেন। ব্রিটেনের বার্মিংহামে এই বিয়ের অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ বছর বয়সী এই শান্তিকামী কর্মী জানিয়েছেন, এই দিনটি তার জীবনের একটি মূল্যবান দিন।
২০১২ সালে তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হবার পর পাকিস্তানের নাগরিক মালালা ইউসুফজাই ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস্-এ রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। এক টুইট বার্তায় মালালা জানিয়েছেন, ‘আসের এবং আমি একত্রিত হয়েছি জীবনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে একসাথে পথচলার জন্য আমরা বেশ উদ্বেলিত।’
মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার সাহসী ভ‚মিকার কারণে প্রথম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসেন। বিবিসির উর্দু সার্ভিসের জন্য তিনি ২০০৯ সালে একটি দিনলিপি লেখা শুরু করেন। তালেবানরা ২০১২ সালে মালালাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে মাথায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঐ ঘটনা তাকে বিশ্বজোড়া পরিচিতি এনে দেয়। সেসময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর। মারাত্মক আহত হয়ে মালালা তখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। সেই ঘটনা থেকে বেঁচে যাবার পর তার পরিবার নিয়ে ব্রিটেনে চলে যান।
ঐ হামলা থেকে সেরে ওঠার পর মালালা মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। তিনি এই বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতাও দেন। ২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সে মালালা সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার লাভ করেন। তার সাথে যৌথভাবে নোবেল জেতেন ভারতের কৈলাস সত্যার্থি। মালালা ইউসুফজাই ২০১৩ সালেও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি। ২০১৩ সালে মার্কিন সাময়িকী টাইম মালালাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে বর্ণনা করে। ওই বছরই মালালা ইউরোপীয় ইউনিয়নের শাখারভ মানবাধিকার পুরস্কার পান। মালালা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে সরব একজন ব্যক্তিত্ব। এর আগে বিয়ে সম্পর্কে দ্বিধা প্রকাশ করতে দেখা গেছে মালালা ইউসুফজাইকে।
গত জুলাই মাসে ভোগ সাময়ীকিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছিলেন, ‘আমি এখনো বুঝি না, কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আপনার জীবনে একজন ব্যক্তিকে চান, তাহলে কেন কাগজে সই করে সেটা করতে হবে। কেন স্রেফ একজন আরেকজনের সঙ্গী হতে পারবে না?’ তিনি আরও বলেন,
‘আমার মা আমাকে বলে... এমন কথা বলার সাহস তোমার কী করে হল! তোমাকে বিয়ে করতে হবে। বিয়ে একটা সুন্দর ব্যাপার।’ মালালা ইউসুফজাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ‘লাইক’ করেছে। হাজার হাজার শুভেচ্ছাবানীতে ছেয়ে গেছে টুইটারে পোস্ট করা মালালার বিয়ের খবর। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।