Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটে যুবককে হত্যার দায়ে স্বামী ও স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২১, ৭:১৩ পিএম

বাগেরহাটের রামপালে আলমগীর হোসেন (২২) নামেরএক যুবককে হত্যার অপরাধে মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগম(২৪)কে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (০৯ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা ও জজ-২য় আদালতের বিচারক তপন রায় এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত মো. সিরাজুল ইসলাম মিয়া আদালতে উপস্থিত থাকলেও স্ত্রী সাবিনা বেগম পলাতক রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর উপজেলার জগীহদা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবারণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় আলমগীর নামের এক যুবককে শ্বাসেরাধ করে হত্যা করে সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। পরবর্তীতে আলমগীরের মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেয় তারা। এঘটনায় নিহত আলমগীরের বাবা রামপাল উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মোশারেফ হোসেন বাদি হয়ে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পরের বছরের ২৪ মার্চ রামপাল থানার এস আই ইমারত শেখ হত্যায় মামলায় সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। বিচারিক আদালত মামলায় ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।
হত্যার কারণ সম্পর্কে যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্ত সিরাজুল ইসলামের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পারগোবিন্দপুর গ্রামের গনি শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকনে সিরাজুল ইসলাম মিয়া ও তার স্ত্রী মোসা. সাবিনা বেগম। সিরাজুলের অনুপস্থিতিতে তাদের পূর্ব পরিচিত আলমগীর শেখ সাবিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সাবিনা বেগম স্বামী সিরাজুলকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে দুজনে কৌশলে আলমগীরকে ডেকে এনে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। হত্যা মামলায় স্বামী স্ত্রী দুইজনই গ্রেফতার হলে উচ্চ আদালতের জামিনে বের হয় স্ত্রী সাবিনা বেগম। তারপর থেকে পলাতক রয়েছে সাবিনা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কেীশলী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট সীতারানী দেবনাথ ও এপিপি শরৎচন্দ্র মজুমদার। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিহির কুমার দেবনাথ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ