মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছুটির মৌসুম সামনে রেখে বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ায় অক্টোবরে চাঙ্গা ছিল চীনের রফতানি। গত মাসে দেশটির রফতানি আগের বছরের একই মাসের তুলনায় বেড়েছে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ। বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছিল ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদায় শ্লথগতিতে আমদানি পূর্বাভাসের চেয়ে কম হয়েছে।
গত অক্টোবরে আগের বছরের তুলনায় রফতানি বাড়লেও সেপ্টেম্বরের তুলনায় কমেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের রফতানি বেড়েছিল ২৮ দশমিক ১ শতাংশ। আমদানি ২৫ শতাংশ বাড়বে এমন পূর্বাভাস থাকলেও গত মাসে চীনের আমদানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৬ শতাংশ। অবশ্য সেপ্টেম্বরের ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কিছুটা বেড়েছে। পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ঝিওয়েই ঝ্যাং বলেন, শক্তিশালী রফতানির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করা এবং অথনৈতিক নীতি ঢেলে সাজানোর সুযোগ পাচ্ছে চীন সরকার। মুদ্রানীতি ও আর্থিক পলিসিতে পরিবর্তন আনতে সরকারের হাতে এখন সময় মিলবে। পলিসিগত পরিবর্তনের বিষয়টি নতুন বছরের জন্য ফেলে রাখতে পারবে তারা। চীনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ফরেন এক্সচেঞ্জের (এসএএফই) সাম্প্রতিক উপাত্তে দেখা গেছে, অক্টোবরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বেড়েছে চীনের। অক্টোবর শেষে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ দশমিক ২১৮ ট্রিলিয়ন ডলার, যা আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ।
রয়টার্সের পুলের বিশ্লেষকরা যেখানে ৩ দশমিক ১৯৭ ট্রিলিয়ন ডলার রিজার্ভের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। গত জুলাইয়ের পর এই প্রথম বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল চীনের। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বেড়েছে চীনের। গতকাল প্রকাশিত চীনের শুল্ক বিভাগের উপাত্তে দেখা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪ হাজার ৭৫ কোটি ডলার, গত সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার। অক্টোবরের রফতানি উপাত্ত কিছুটা আশাজাগানিয়া হলেও চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে শ্লথগতি চলছে। টানা দ্বিতীয় মাসের মতো চীনের কারখানা কার্যক্রম সংকুচিত হয়েছে। এতে ভূমিকা রেখেছে সরবরাহ চেইনে সমস্যা এবং বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টরের স্বল্পতা ও উপকরণ সঙ্কট।
অবশ্য সরকারের কড়া হস্তক্ষেপে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সরবরাহ সংকট কিছুটা প্রশমিত হয়েছে। কয়লাস্বল্পতা, কঠোর কার্বন নিঃসরণ নীতিমালা এবং ব্যাপক চাহিদার ফলে বিদ্যুৎ খাতে যে সংকট দেখা দিয়েছিল তাও কমেছে। শ্লথগতির আশঙ্কাকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার শিল্প খাতকে সহায়তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
পূর্বাভাসের চেয়ে আমদানি কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হ্রাস। গত মাসে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি ছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর-পরবর্তী সর্বনিম্ন। আকরিক লোহা আমদানিও টানা দ্বিতীয় মাসের মতো কমেছে। গত মাসে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। বিশ্লেষকরা যেখানে ৬ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, যা গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিক-পরবর্তী সর্বনিম্ন। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।