Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিতে নতুন আইন প্রণয়ন করল আমিরাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২১, ১১:০১ পিএম

আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আবুধাবিতে অমুসলিমদের ব্যক্তিগত অবস্থার বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নমনীয় এবং উন্নত বিচারব্যবস্থা প্রদানে সক্ষম একটি আইন জারি করেছেন। বিশ্বে প্রথম বলে বিবেচিত এই আইনটি 'মেধা ও দক্ষতার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য' হিসেবে আমিরাতের অবস্থান সৃদৃঢ় করবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াবে।

এটি আন্তর্জাতিক অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অমুসলিম পারিবারিক বিষয়গুলো পরিচালনাকারী প্রথম নাগরিক আইন। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনের অধীনে অমুসলিমদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে। যা তাদের সংস্কৃতি, রীতিনীতি এবং ভাষার ক্ষেত্রে পরিচিত। সেই সঙ্গে শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করার জন্য- বিশেষ করে পিতা-মাতার বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে।
আবুধাবি জুডিশিয়াল ডিপার্টমেন্টের (এডিজেডি) আন্ডার সেক্রেটারি ইউসুফ সাঈদ আল আব্রি বলেন, নতুন আইনটি অমুসলিমদের পারিবারিক জীবনসম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ কাজ। এটি এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী মর্যাদা অর্জন করেছে। প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফার বিজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি এবং আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নির্দেশমতো এটি করা হয়েছে।
আল আব্রি আরো বলেন, বিচার বিভাগ অমুসলিমদের ব্যক্তিগত অবস্থার সমস্যাগুলোর সমাধান প্রদানের জন্য উপপ্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিবিষয়ক মন্ত্রী এবং এডিজেডির চেয়ারম্যান শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অনুপ্রেরণায় কাজ করছে।
এডিজেডির আন্ডার সেক্রেটারি ব্যাখ্যা করেন, নতুন আইনটি পারিবারিক বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণে নাগরিক নীতিগুলো প্রয়োগ করে। আল আব্রি এ বিষয়ে গঠিত প্রথম আদালত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। নতুন আদালতের সমস্ত প্রক্রিয়া আরবি ও ইংরেজি- দুই ভাষাতেই হবে। যাতে বিদেশিরা বিচারিক পদ্ধতি বুঝতে পারেন। এটা বিচারিক স্বচ্ছতা উন্নত করার একটি প্রয়াস।
আইনটি নাগরিক বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, শিশুদের যৌথ হেফাজত এবং উত্তরাধিকার- এমন কয়েকটি অধ্যায়ে বিভক্ত এবং ২০টি নিবন্ধ নিয়ে গঠিত।
আইনের প্রথম অধ্যায়ে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে নাগরিক বিবাহের ধারণাটি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে অমুসলিমদের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের পদ্ধতি, বিবাহবিচ্ছেদের পর স্বামী-স্ত্রীর অধিকার এবং স্ত্রীর আর্থিক অধিকার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিচারকের বিচক্ষণতাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যেমন বিয়ের বছর সংখ্যা, স্ত্রীর বয়স, স্বামী/স্ত্রীর প্রত্যেকের অর্থনৈতিক অবস্থান এবং অন্যান্য বিবেচনা- যা বিচারক স্ত্রীর আর্থিক অধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিবেচনা করবেন।
তৃতীয় অধ্যায় বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তানের হেফাজতে একটি নতুন ধারণার সূচনা করবে। পিতা ও মাতার মধ্যে সমানভাবে হেফাজতের ভাগ করে নেওয়া, যা পশ্চিমা দেশে 'যৌথ হেফাজত' নামে পরিচিত। এটা করা হবে মূলত বিবাহবিচ্ছেদের পরে পরিবারের সংহতি রক্ষার জন্য। সেই সঙ্গে শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য।
চতুর্থ অধ্যায়ে উত্তরাধিকারসংক্রান্ত সমস্যা, অমুসলিমদের জন্য উইলের রেজিস্ট্রেশন এবং একজন বিদেশির উইল তৈরির অধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর আইনের পঞ্চম অধ্যায় অমুসলিম বিদেশিদের জন্য পিতৃত্বের প্রমাণবিষয়ক। সূত্র : গালফ টুডে

 



 

Show all comments
  • মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৫:২৬ এএম says : 0
    টাকা থাকলে পৃথিবীতে বহু কিছু করা সম্ভব,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমিরাত

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ