গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে কদমতলীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় রুহুল আমিন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছেলে হুমায়ুন বলেন, গতকাল সকালে আমার বাবা বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় আহত হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সকাল ১০টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের ছেলে বলেন, আমাদের বাসা সাইনবোর্ড এলাকায়, গ্রামের বাড়ী কিশোরগঞ্জ জেলায়।
এদিকে, সবুজবাগের মায়াকাননে রাজীব চক্রবর্তী নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বড় ভাই রাজেষ চক্রবর্তী বলেন, টিউশনি শেষে বাসায় ফিরে রাজীব সরাসরি তার রুমে চলে যায়। রাত ১১টার দিকে খাওয়ার জন্য ডাক দিলে সে আর দরজা খুলে না। কিছুক্ষণ পর আবার ডাকলাম, কিন্তু দরজা খুলে না। পরে বাড়ির মালিককে ডেকে আনি। ফাঁকা দিয়ে দেখি রাজীব গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এরপর সবুজবাগ থানায় খবর দেওয়া হয়। সে আমাকে বলত, দাদা পড়া শেষ করলাম কিন্তু চাকরি পাই না। এই টিউশনি করে কতদিন চলবে। সব সময় চাকরি নিয়ে মানসিকভাবে হতাশা প্রকাশ করত। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রাজীব।
মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের এসি মনতোষ বিশ্বাস বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাকরি না পাওয়ায় তার নিজের মধ্যে হতাশা কাজ করত। এ নিয়ে পরিবার থেকে তাকে চাপ দেয়া হতো। সবকিছু মিলিয়ে সে রাতে নিজের রুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে, ঢাকার কেরানীগঞ্জের মেকাইল এলাকায় যোহরের নামাজ শেষে ফেরার পথে গাড়ির ধাক্কায় হাজী মো. ইব্রাহিম মোল্লা (৮০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে খলিলুর রহমান বলেন, আমার বাবা যোহরের নামাজ আদায় করতে বাড়ির পাশের মসজিদে যান। নামাজ শেষে তিনি বাসায় ফেরার পথে একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে আমার বাবা গুরুতর আহত হন। পরে মুসল্লিরা ফোন দিলে দ্রুত বাবাকে ঢামেক হাসপাতালে এলেও বাঁচাতে পারলাম না। তিনি বলেন, কোন গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়েছে সেটা এখনও জানতে পারিনি। আমরা কেরানীগঞ্জ থানার মেকাইল এলাকায় থাকি। আমার দাদার নাম মৃত ইসরাফিল মোল্লা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।