পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে জয়নাল আবেদীন মজুমদার নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) গাড়িচালক ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে জয়নাল মারা যান। বাকি চারজন চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন- নিহত জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, আবদুল কবির আকন্দ, মালতি রায় চৌধুরী ও অটোরিকশাচালক মহির উদ্দিন।
নিহত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম জুয়েল জানান, বৃহস্পতিবার খিলগাঁও জোন ডিপিডিসির কর্মচারীদের নির্বাচন ছিল। তার বাবা ডিপিডিসির গাড়িচালক ছিলেন। দুপুরে জয়নাল ভোট দেওয়ার পর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তারা জুরাইন যাচ্ছিলেন। এ সময় হানিফ ফ্লাইওভারের উপরে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে অটোরিকশাটি ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি উল্টে গেলে তারা সবাই আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়নাল মারা যান। বাকিরা ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
জহিরুল আরও জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায়। বর্তমানে তারা জুরাইন এলাকায় থাকতেন। জয়নাল ডিপিডিসির গাড়িচালক হিসেবে পোস্তগোলায় কর্মরত ছিলেন।
এছাড়া বাড্ডার আফতাবনগর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে হাসু মিয়া নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সহকর্মী মামুন জানান, বাড্ডার আফতাবনগরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হন, পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, নিহত হাসু মিয়ার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদর উপজেলায়। বর্তমানে ওই নির্মাণাধীন ভবনে থাকতেন। তিনি রড মিস্ত্রির কাজ করতেন।
এদিকে, পরীবাগ সাকুরা গলি এলাকার দুই ভবনের মাঝ থেকে ইভানা লাইলা চৌধুরী নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শাহবাগ থানার এসআই আব্বাস আলী বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত সাকুরা গলি এলাকার দুটি বিল্ডিংয়ের মাঝ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, নিহতের বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন তার মেয়ে অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিল। মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুলে সে চাকরি করতো। নিহতের স্বামী আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতের বাবার বাড়ি ঢাকার বনানীতে। সাকুরা গলি এলাকার নবাব হাবিবুল্লাহ রোডের নয়তলা ভবনের আট তলায় সপরিবারে থাকতেন তারা। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।