গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে মহাখালীতে ট্রেনের ধাক্কায় আবু হানিফ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মহাখালী ও বনানী সৈনিক ক্লাবের মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মৃত ইয়াকুব আলী সন্তান। বর্তমানে তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ায় থাকতেন।
নিহতের সহকর্মী রাজু আহমেদ জানান, সৈনিক ক্লাবের পার্শ্বে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে একটি কোম্পানির সাব কন্ডাক্টরের মাধ্যমে মিস্ত্রির হেলপার হিসেবে কাজ করতেন হানিফ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাখালী ও বনানী সৈনিক ক্লাবের মধ্যবর্তী স্থানে রেললাইনের উপর বসে মোবাইল দেখছিলেন তিনি। এ সময় কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা বিমানবন্দরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন হানিফ। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধোলাইপাড়ের জুরাইন এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহত শাহ আলম লেবারের কাজ করতেন। এখন ধোলাইপাড় এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায়।
শ্যামপুর থানার এসআই আলাউদ্দিন খান জানায়, গতকাল সকালে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় শাহ আলম। এরপর জুরাইনের সড়কে রাস্তা পারাপারের সময় একটি প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তিনি আরো জানান, এ ঘটানায় প্রাইভেটকার জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন। এছাড়া পরিবারের লোকজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়া গতকাল দুপুরে বাড্ডা আফতাব নগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আজিজুর রহমান নামে এক রড মিস্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বেলা পৌনে ৩টায় মৃত ঘোষণা করেন।
সহকর্মী মো. আরিফ জানান, তারা আফতাব নগর এম বøকের ১১ নম্বর রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করেন। বৃষ্টির কারণে ভবনের নিচের তলায় পানি জমে যায়। বৈদ্যুতিক পানির মোটর দিয়ে পানি সেচার জন্য সুইচ অন করতেই সেখান থেকে বিদ্যুতায়িত হয় আজিজুর। পরে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই মো. সাজু মিয়া জানান, তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম অলিপুর থানার বকশিপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মজিবুর রহমান। ১ ছেলে ১ মেয়ের জনক ছিল আজিজুর। বর্তমানে আফতাব নগরেই থাকতো তারা। ৪ মাস ধরে নির্মাণাধীন ওই ভবনে রড মিস্ত্রীর কাজ করছিল সে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।