পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.) এর আদর্শই একমাত্র সমাধান। সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দূত ও জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর ছোঁয়ায় নবুওয়াতের মাত্র ২৩ বছরেই আরবরা বিনির্মাণ করলো এক নতুন পৃথিবী। তাই সামাজিক অবক্ষয় রোধ, অন্যায়-জুলুম ও অনৈতিকতার হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করে ইনসাফপুর্ণ, শান্তিময় ও সমৃদ্ধশালী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরও রাসূল (সা.) এর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে জীবনের সকলক্ষেত্রে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তানস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় সীরাত সম্মেলনে পুরস্কার বিতরণ, বিশ্বজয়ী হাফেজ-ক্বারীদের সংবধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় সীরাত সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দৈনিক ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, শরীয়াহ বিষয়ক উপদেষ্টা মুফতী ওমর ফারুক সন্ধিপী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, দৈনিক নয়াদিগন্তের সহ-সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী, প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা যাইনুল আবিদীন, বারিধারা কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা সাইয়্যেদ জুলফিকার জহুর, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, ছাত্রনেতা নূরুল করীম আকরাম। সম্মেলন পরিচালনা করেন জয়েন্ট সেক্রেটারী ডা. শহিদুল ইসলাম ও মাওলানা জিয়াউল আশরাফ।
জাতীয় সীরাত সম্মেলনে ৬দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন শেখ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, রাসূল (সা.) রাষ্ট্র সমাজ পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রে জনতার সাথে পরামর্শ করতেন। আজকে যারা ভোটাধিকার কেঁড়ে নিয়েছে যারা শাসনক্ষমতায় জনতার অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমি সাবধান করে দিতে চাই যে, রাসূল (সা.) এর বিরোধী অবস্থান নিয়ে কেউ কখনো সফল হয়নি; বর্তমানেও হবে না। মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন রাসূল (সা.)। মানুষের সকল প্রয়োজন, ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে গেছেন রাসূল (সা.)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।