Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরে এসএসসির ফরম পূরণে এসে শিক্ষার্থী জানলো জেএসসিতে ফেল

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৪১ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে এসে জানলো জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা) ফেল। বিগত দুই বছর পর মোসাদ্দেক আলী নামে এক শিক্ষার্থী জানলো সে জেএসসিতে ফেল করেছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

নবম ও দশম শ্রেণিতে দুই বছর পড়ালেখা করে টেষ্ট পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে এসে জানলো ওই শিক্ষার্থী জেএসসিতে ফেল করেছে। তাই সে এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণ করতে পারবেনা বা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেনা।
কারণ জেএসসি পরীক্ষায় সে এক বিষয় ফেল করেছিল। সে বিষয় সম্পূরক পরীক্ষা না দেওয়ায় তার জেএসসি সণদপত্র পাওয়া যায়নি। অথচ কয়েক দিন আগে ওই স্কুলের অফিস সহায়ক রাসেদুল ইসলাম বোর্ডে সামান্য ভুল আছে এবং তা সংশোধন করতে ১ হাজার টাকা চেয়ে শিক্ষার্থীর পিতাকে জানান এবং সে টাকা দেয়া হয়।
তার পিতার অভিযোগ, সে যদি ফেল করে থাকে তা হলে তাকে কিভাবে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলো। কেমন করে সে নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করলো এবং টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে পাস করলো। এতদিন তারা বিষয়টি কেন জানাননি কেন তারা আমার ছেলের এত বড় ক্ষতি করলেন? এর দায় কার? এখন তাঁরা বলছেন, এতদিন যা খরচ হয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে।’

‘তারা কি আমার ছেলের বিগত সময়গুলো ফিরিয়ে দিতে পারবেন? পারবেন তার শিক্ষাজীবনের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ? অফিস সহকারী আমার ছেলেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করেছে। কোনও ভুল হয়ে থাকলে তিনি তা করেছেন। তার কারণেই একজন শিক্ষার্থীকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। তিনি প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আমাদের বিপদে ফেলেছেন। তিনি যদি বিষয়টি আগেই যাচাই-বাছাই করতেন তাহলে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে আমার ছেলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতো। কিন্তু তিনি তা না করে এখন দোষারোপ করছেন সদ্য প্রয়াত প্রধান শিক্ষককে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

ওই স্কুলে এ ধরনের সমস্যা আরও কয়েকজনের হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে বোতলাগাড়ী মাঝাপাড়ার রমজান আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, নাজমুল হকের ছেলেও একইভাবে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় জানতে পারে তারা জেএসসিতে পাস করেনি। এতে শিক্ষার্থীদের জীবন এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রাসেদুল ইসলাম বলেন, ‘যা করেছি প্রয়াত প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের নির্দেশে করেছি। ভুল হয়ে থাকলে তা প্রধান শিক্ষকের। এ ক্ষেত্রে আমার কোনও দোষ নেই।’ নবম শ্রেণিতে ভর্তির সময় কেন কাগজপত্র যাচাই না করে তাকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা মিসটেক হয়েছে। অনেক সময় এমন হয়।’

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহানা ইয়াসমিন ফোনে জানান, এ ধরনের কোনও বিষয় তার জানা নেই। তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত করে দেখতে হবে। অফিস সহকারী এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তার ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফরম পূরণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ