মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নির্জনতা ভেঙে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হয়েছেন। আজ রবিবার তালেবান বলছে, তার এই বিরল উপস্থিতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া মৃত্যুর গুজবকে উড়িয়ে দিয়েছে। -রয়টার্স
তালেবানের সর্বোচ্চ ও আধ্যাত্মিক নেতা অথবা আমির উল মুমিনিন হিসেবে পরিচিত হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। গত আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাকে জনসম্মুখে কখনোই দেখা যায়নি। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষের ব্রিটেনের একটি সংবাদ মাধ্যমে তিনি মারা গেছেন দাবি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকায় সেই গুঞ্জন চারদিকে ডালপালা ছড়াতে থাকে। জনসম্মুখে আসার সময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গে ছিলেন তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, শনিবার কান্দাহারের জামিয়া দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন সর্বোচ্চ নেতা।
যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ইসলামি কট্টরপন্থী এই গোষ্ঠী সেপ্টেম্বরে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। এই গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ নেতা রহস্যময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা; ২০১৬ সাল থেকে তালেবানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামরিক বিষয়ে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী হিসেবে এই পদে আছেন তিনি।
যদিও তালেবানের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, আখুন্দজাদা কোনও ধরনের প্রচারণা ছাড়াই অতীতে জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকা হাইবাতুল্লাহর এবারই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে তালেবান। তালেবানের সর্বোচ্চ এই নেতার একটি মাত্র ছবির সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে; যে ছবিটি ২০১৬ সালের মে মাসে তালেবানের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়। ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধ্রুবক জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
তার ছায়াময় অস্তিত্ব, অবস্থান এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বারবার জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। তালেবান নেতাদের ব্যাপারে এতটাই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় যে, ২০১৩ সালে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর তা স্বীকার করা হয়। ওমরের মৃত্যুর তথ্য তার ছেলে প্রথম প্রকাশ্যে স্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।