মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবান যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলিকে আফগানিস্তানে তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে যে, এটি করতে ব্যর্থ হলে এবং বিদেশে অব্যাহতভাবে আফগান তহবিল অবরোধ করে রাখলে, তা কেবল দেশটির জন্যই নয়, বরং বিশ্বের জন্যও সমস্যা সৃষ্টি করবে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এ কথা বলেন।
মুজাহিদ বলেন, ‘আফগানিস্তানে তালেনবান সরকারকে স্বীকৃতি আফগান জনগণের অধিকার।’ তিনি বলেন, ‘আমেরিকার প্রতি আমাদের বার্তা হল, যদি অস্বীকৃতি অব্যাহত থাকে, আফগান সমস্যা অব্যাহত থাকে, এটি এই অঞ্চলের সমস্যা এবং বিশ্বের জন্য সমস্যায় পরিণত হতে পারে।’ মুজাহিদ বলেন, ‘গতবার তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে যাওয়ার কারণ দু’পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। যে সমস্যাগুলো যুদ্ধের কারণ, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমেও সমাধান করা যেত।’ এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও বেশ কয়েকটি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাবুল এবং বিদেশে তালেবানের শীর্ষ নেতাদের সাথে দেখা করেছেন। আফগানিস্তানে সর্বশেষ সফর করেছেন তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাসিত মেরেডো, যিনি শনিবার কাবুলে ছিলেন। মুজাহিদ টুইটারে জানিয়েছেন যে, উভয় পক্ষ তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ইন্ডিয়া (টিএপিআই) গ্যাস পাইপলাইনের দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছে।
এর আগে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সপ্তাহের শুরুতে কাতারে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। মুজাহিদ শনিবার আরও জানিয়েছেন যে, চীন পরিবহন অবকাঠামোতে অর্থায়ন করার এবং প্রতিবেশী পাকিস্তানের মাধ্যমে কাবুলের রপ্তানিকে চীনা বাজারে প্রবেশাধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্ডার ক্রসিংয়ের সম্মুখীন হওয়া সমস্যাগুলি সম্পর্কেও কথা বলেছেন মুজাহিদ, বিশেষ করে পাকিস্তানের সাথে, যা সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে ঘন ঘন বন্ধ হয়েছে। স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের জন্য ক্রসিংগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, আফগানিস্তানের বিলিয়ন ডলারের সহায়তা তহবিল বিদেশে অবরুদ্ধ করে দেয়ার ফলে দেশটিতে সৃষ্ট গুরুতর অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটের মধ্যে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের জন্য প্রায় ১ শ’ ৪৪ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘এই সহায়তা আফগানিস্তানের এবং এই অঞ্চলের আফগান শরণার্থীদের জন্য ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট মানবিক সহায়তাকে প্রায় ৪ শ’ ৭৪ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে, যা যে কোনও দেশের দেয়া সহায়তার মধ্যে সর্বোচ্চ।’
ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেছেন যে, সহায়তাটি সরাসরি স্বাধীন মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলিকে প্রদান করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউএনআইসিইএফ), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লএইচও), এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক এবং বেসরকারি সংস্থা। তিনি বলেন, ‘এই তহবিল প্রতিবেশী দেশগুলিতে আফগান শরণার্থী সহ এই অঞ্চলের প্রয়োজনে ১৮ মিলিয়নেরও বেশি দুস্থ আফগানদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করবে।’ ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি, কোভিড-১৯, খরা, অপুষ্টি, এবং আসন্ন শীতের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান মানবিক প্রয়োজনের মধ্যে অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা আমাদের অংশীদারদের জীবন রক্ষাকারী সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, শীতকালীন সহায়তা, রসদ এবং জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে সক্ষম করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তহবিলটি আফগানিস্তানের জনগণকে উপকৃত করবে এবং তালেবাকে নয়, যাদের কাছে আমরা তাদের প্রতিশ্রুতির জবাবদিহিতা চাইতে থাকব।’ আগ্রহী দেশগুলিকে আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আফগানদের প্রতি তাদের সীমান্ত উন্মুক্ত রাখতেও আহ্বানও জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সূত্র : ট্র্রিবিউন, খালিজ টাইম্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।