Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন তালেবান প্রধান মোল্লা আখুন্দজাদা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ৫:১৯ পিএম

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নির্জনতা ভেঙে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হয়েছেন। গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরে এক সভায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশটিতে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম জনসম্মুখে এলেন তিনি।
জনসম্মুখে আসার সময় হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার সঙ্গে থাকা তালেবানের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে বলেছেন, শনিবার কান্দাহারের জামিয়া দারুল উলুম হাকিমিয়া মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন সর্বোচ্চ নেতা।
তবে অনুষ্ঠানের কোনো ভিডিও পাওয়া না গেলেও তালেবান সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্যের দশ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড শেয়ার করা হয়।
মোল্লা আখুন্দজাদা তার বক্তব্যে বলেন, ‘আল্লাহ আফগানিস্তানের নিপীড়িত মানুষকে পুরস্কৃত করেন, যারা ২০ বছর ধরে অবিশ্বাসী অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে লড়েছে।’
বক্তব্যে তিনি তালেবানের শহীদ, আহত যোদ্ধাদের জন্য দোয়া করেন। একইসাথে নতুন করে আফগানিস্তানকে গড়ার সাথে জড়িত কর্মীদের সাফল্য কামনা করে দোয়া করেন তিনি।
সভাস্থলে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছিলো এবং সভার কোনো ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, তালেবানের সর্বোচ্চ ও আধ্যাত্মিক নেতা অথবা আমির উল মুমিনিন হিসেবে পরিচিত হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। গত আগস্টে তালেবান দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাকে জনসম্মুখে কখনোই দেখা যায়নি। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের শেষের ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যমে আখুন্দজাদা তালেবানের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা গেছেন বলে দাবি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকায় সেই গুঞ্জন চারদিকে ডালপালা ছড়াতে থাকে।
যদিও তালেবানের কিছু কর্মকর্তা বলেছেন, আখুন্দজাদা কোনও ধরনের প্রচারণা ছাড়াই অতীতে জনসম্মুখে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থাকা হাইবাতুল্লাহর এবারই প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসার তথ্য নিশ্চিত করেছে তালেবান।
তালেবানের সর্বোচ্চ এই নেতার একটি মাত্র ছবির সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়েছে; যে ছবিটি ২০১৬ সালের মে মাসে তালেবানের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা হয়। ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধ্রুবক জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
তালেবানের এই নেতার ছায়াময় অস্তিত্ব তার অবস্থান এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বারবার জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। তালেবান নেতাদের ব্যাপারে এতটাই গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় যে, ২০১৩ সালে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের মৃত্যুর দুই বছর পর তা স্বীকার করা হয়। ওমরের মৃত্যুর তথ্য তার ছেলে প্রথম প্রকাশ্যে স্বীকার করেন। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ